বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোট গণনা শেষে গাংনীতে ফের সংঘর্ষ

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২১ ২১:২০

বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে ফল ঘোষণা হলে জানা যায়, ওই দুই প্রার্থীই পরাজিত হয়েছেন।

মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দী ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ভোট গণনার পর দুই পক্ষের সংঘর্ষে পোলিং অফিসার ও তিন পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে ফল ঘোষণা হলে জানা যায়, ওই দুই প্রার্থীই পরাজিত হয়েছেন।

মেহেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার অপু আহমেদ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন নিউজবাংলার এই প্রতিবেদকও।

অপু আহমেদ নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, রামনগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আরিফুল ইসলাম ও ইউনুচ আলীর সমর্থকরা সন্ধ্যায় সংঘর্ষে জড়ায় কেন্দ্রের বাইরে। একপর্যায়ে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে করতে কেন্দ্রের দিকে এগোতে থাকেন। ভাঙচুর করেন কেন্দ্রের দরজা-জানালা। কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকেও ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স গিয়ে তাদের বাধা দিলে হামলার শিকার হয়।

অপু বলেন, ‘আমাদের দিকে বৃষ্টির মতো ইট ছুড়তে থাকে। লাঠি ও নানা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে।’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালানো হয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। এরপর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। সে সময় তিনজনকে আটক করা হয়।

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই শাহিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পোলিং অফিসার মোতালেব হোসেন ও পুলিশের দুই কনস্টেবল। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এ ঘটনার পরপরই কেন্দ্রের ফল নিয়ে নির্বাচন অফিসের উদ্দেশে বের হয়ে যান প্রিসাইডিং অফিসার মাহবুবুর রহমান। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, যেই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তারা কেউই জয়ী হননি। বিস্তারিত ফল কার্যালয় থেকে জানানো হবে।

ভোট চলাকালেও সংঘর্ষ হয় এই উপজেলায়। গাংনী থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভ্রমরদাহ কেন্দ্রে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া বামন্দী ইউনিয়নের নিশিপুর গ্রামে দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ‍্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ তা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ আনে।

মেহেরপুরের মুজিবনগরের মহাজনপুর ইউনিয়নেও ভোটের সময় সহিংসতা হয়। সেখানে নৌকা ও আনারস প্রার্থীর মধ‍্যে বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনায় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

কোমরপুর ভোটকেন্দ্রে বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশেম।

তিনি জানান, কোমরপুর কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী রেজাউর রহমান নান্নু ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের আমাম হোসেন মিলুর সঙ্গে বাগযুদ্ধ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়।

এ ঘটনায় কোমরপুর কেন্দ্রে কিছুক্ষণ ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। আধা ঘণ্টা পর তা ফের চালু করা হয়।

গাংনীতে গত ৮ নভেম্বর ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই ভাই প্রাণ হারান।

উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সদস্য প্রার্থী আজমাইন হোসেন টুটুল ও বর্তমান সদস্য আতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মাঝে এই সংঘর্ষ হয়।

নিহতরা হলেন সাহাদুল ইসলাম ও জাহারুল ইসলাম। তাদের নিজের সমর্থক দাবি করেন আতিয়ার রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর