পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের দুই কোম্পানি বিএসআরএম লিমিটেড ও বিএসআরএম স্টিল সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের মতো নতুন বছরেও আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।
গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে কোম্পানিটি ব্যাপক আয় করতে পেরেছে বলে প্রান্তিক প্রতিবেদন উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকের পর এই হিসাব প্রকাশ করা হয়।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরেও কোম্পানি দুটি আয় ব্যাপকভাবে বাড়াতে পেরেছিল।
বিএসআরএম লিমিটেড
কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৪ টাকা ২৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৪২ পয়সা। আয় বেড়েছে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৮৭ পয়সা বা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি আয় হয়েছে কোম্পানিটির।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরেও কোম্পানিটি আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি আয় করতে পারে। ২০২০ সাল থেকে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৯০ পয়সা আয় করা কোম্পানিটির আয় ২০২১ সালে হয় ১৮ টাকা ৯৬ পয়সা।
২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এই আয় ছিল সর্বোচ্চ।
কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এবার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ৫ টাকা করে।
তবে লভ্যাংশ ঘোষণার পর শেয়ারদর পড়ে গেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার আগের কর্মদিবসে শেয়ারদর ছিল ১১৩ টাকা ১০ পয়সা। সেটি খানিকটা কমে হয়েছে ১১০ টাকা।
বিএসআরএম লিমিটেড
এই কোম্পানিটি এবার প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি এই আয় ছিল ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ এই কোম্পানিটির আয়ও তিন গুণেরও বেশি হয়েছে।
বিএসআরএম লিমিটেডের মতোই এই কোম্পানিটিও তাদের আয় গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাপকভাবে বাড়ায়। এবার শেয়ার প্রতি আয় হয় ৮ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা।
২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটিও এবার তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগেই ১০ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারে ১ টাকা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি। আর এবার চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছে শেয়ারে ৩ টাকা বা ৩০ শতাংশ।
তবে ভালো লভ্যাংশ ও আয় করার পরেও এই কোম্পানিটিরও দরপতন হয়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণার আগের কর্মদিবসে শেয়ারদর ছিল ৬৯ টাকা ৯০ পয়সা, সেটি এখন খানিকটা কমে হয়েছে ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা।