বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের শর্ট ডকুমেন্টরি

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২১ ২১:১৬

নির্মাতা রেমন্ড সালোমন বলেন, ‘মাত্র ৪ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ডকুমেন্টরিটিতে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের নিপীড়নের বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। জাতি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার জন্মদিন ঠিক সেই দিনেই উদযাপিত হয়, যেদিন এই ভূমিতে আদিবাসীদের ওপর নিপীড়নের সূচনা হয়েছিল। এটি মানবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’    

অস্ট্রেলিয়া দিবস ও দেশটির আদিবাসীদের ওপর নির্যাতনের ইতিহাস নিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রেমন্ড সালোমন নির্মিত শর্ট ডকুমেন্টরি ‘What is Australia Day?’ স্থান পেয়েছে ক্যানবেরা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।

ক্যানবেরার ডেন্ডি সিনেমা হলে ১৭ নভেম্বর প্রদর্শিত হবে ডকুমেন্টরিটি।

চার মিনিটের এই ডকুমেন্টরিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৮ বছরের আদৃতা আকাশ। নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন শামা রেইন।

সিনেমাটোগ্রাফি ও সম্পাদনা করেছেন শিমুল শিকদার। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা রিয়াজ আহমেদের তত্ত্বাবধানে ডকুমেন্টরিটির পরিকল্পনা সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান পিঙ্ক ক্রিয়েটিভ।

অস্ট্রেলিয়ার জাতিগত চেতনা, অস্ট্রেলিয়া দিবস উদযাপনের তারিখ হিসেবে ২৬ জানুয়ারিকে বেছে নেয়া এবং এর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের ওপর নির্যাতনের যোগসূত্রকে তুলে ধরা হয়েছে ডকুমেন্টরিটিতে।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ব্রিটিশদের প্রথম আগমন ঘটে ১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারি। শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের ওপর চালাতে থাকে বর্বরতা। এক শ বছরের বেশি সময় ধরে হত্যা, লুটপাট, ভূমি দখল, ভাষা ও সংস্কৃতি ধ্বংস করার পাশাপাশি বর্ণবাদী আইন প্রণয়ন করে আদিবাসীদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে।

আর এ কারণে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা দুঃসহ অভিজ্ঞতা শুরুর দিন হিসেবে ২৬ জানুয়ারিকে স্মরণ করে। দিনটিকে রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে আজও মেনে নিতে পারেনি তারা।

ডকুমেন্টরিটির সব কলাকুশলী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। দেশটির আদিবাসীদের মতো আমাদের পূর্বপুরুষরাও এমন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন দুই শ বছর ধরে।

নির্মাতা রেমন্ড সালোমন ২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া দিবস পালনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এমন উদযাপন আমাদের জাতিগত বিবেককে আহত করে।’

তিনি বলেন, ‘মাত্র ৪ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ডকুমেন্টরিটিতে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের নিপীড়নের বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। জাতি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার জন্মদিন ঠিক সেই দিনেই উদযাপিত হয়, যেদিন এই ভূমিতে আদিবাসীদের ওপর নিপীড়নের সূচনা হয়েছিল।

‘এটি মানবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দেশ ও জাতিগত উন্নয়নের যে স্বপ্ন আমরা দেখি, তা কখনো পরিপূর্ণভাবে অর্জন করা যাবে না যতদিন ২৬ জানুয়ারিকে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে যাব।’

এ বিভাগের আরো খবর