রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলা-সম্পর্কিত খবর প্রচার নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন খালাস পাওয়া আসামি সাফাত আহমেদের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। চূড়ান্ত রায়ের আগে বিষয়টি প্রচার না করাই ভালো ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রায়ের পরে কাজল বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্য আমি বলব, এই মামলায় যেভাবে প্রচার হয়েছে, চূড়ান্ত রায় হওয়ার আগে এভাবে প্রচার না করাই ভালো ছিল। ঘটনার সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত চূড়ান্তভাবে রায় দিয়েছে। আসামিদের খালাস দিয়েছে।’
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার মামলার রায় দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার। এতে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির সবাই খালাস পেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সাফাতের আইনজীবী কাজল বলেন, ‘অবশ্য আমরা প্রথম থেকে বলছিলাম এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। মামলায় ২২ জন সাক্ষী হাজির করা হয়েছিল। মেডিক্যাল রিপোর্ট, ডিএনএ রিপোর্ট, ভিকটিমের জবানবন্দি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে আদালত তাদের খালাস দিয়েছে।’
এই মামলাটি নিয়ে শুরু থেকেই সরব আলোচনা ছিল। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারকও এ কথা উল্লেখ করেছেন।
রায়ের শুরুতেই আদালত বলে, ‘আপনারা এই মামলাকে আলোচিত বলেন। আমি অবশ্য তেমনটা মনে করি না। আদালতের কাছে সব মামলাই সমান।’
এক প্রশ্নের উত্তরে কাজল বলেন, ‘যখন কেউ ধর্ষিত হয়, ধর্ষিত হওয়ার পর এমন কিছু উপাদান থাকে (কাপড়চোপড়, ডিএনএ, মেডিক্যাল রিপোর্ট) যা খুব জরুরি। কারণ মেডিক্যাল রিপোর্টটা যদি না থাকে, তাহলে সমাজে সকলেই মিথ্যা মামলায় নিমজ্জিত হতে পারে। এটি একটি সায়েন্টিফিক ফরেনসিক রিপোর্ট। ডাক্তার যদি বলেন হয়েছে, তাহলে মেনে নিতেই হবে।’