‘বন্ধুবান্ধব অনেকেই চলে গেছে। এক বছর আগে আমার স্ত্রী সখীনা বেগমও চলে গেছে। ছেলেমেয়েরা আমার ভরণপোষণ করে। বয়সের কারণে চোখে ভালোভাবে দেখি না, কানেও শুনি না। জীবনের শেষ মুহূর্তে চলে এসেছি। এবারই হয়তো আমার জীবনের শেষ ভোট।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ১১৫ বছর বয়সী শাহজাহান আলী।
তিনি টাঙ্গাইলের সখীপুরের বার খুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তিনি সখীপুরের কাকড়াজান ইউনিয়নের নির্বাচনে মহানন্দপুর বিজয় স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিপদে যাকে কাছে পেয়েছি তাকেই ভোট দিয়েছি। আশা করি আমার প্রার্থী নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন করবেন।’
স্থানীয় হযরত আলী জানান, শাহজাহান আলীর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। আগে মজুরের কাজ করলেও বর্তমানে বয়সের ভাড়ে ন্যুব্জ হয়ে পড়ায় তিনি কিছু করতে পারেন না। ভ্যানে এসে ভোট দিয়েছেন।
মহানন্দপুর বিজয় স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম জানান, কেন্দ্রের ছয়টি বুথে সকাল থেকেই ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।