বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টা। কুমিল্লার মেঘনার ভাওরখোলা ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হঠাৎ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
খিরারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ৬০ বছরের সানাউল্লাহ ঢালি। সংঘর্ষ দেখে আতঙ্কে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর স্বজনরা তার মরদেহ থানায় নিয়ে যান।
সানাউল্লাহ ঢালির বাড়ি মেঘনার খিরারচর গ্রামে।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে মারা গেছেন। কারণ তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন, তাকে গালমন্দ করা হয়েছে। এতে ভয়ে তিনি মারা গেছেন।
‘ওই ব্যক্তির লাশ থানায় রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। পরে সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ভোটের সময় সংঘর্ষ হয়েছে মেঘনার মানিকারচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শাওন আহমেদের বাড়ি মেঘনা উপজেলার বল্লবের কান্দি গ্রামে।
মেঘনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সালাউদ্দিন মোল্লা জানান, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১২টার দিকে বহিরাগতরা আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে। এ সময় বাধা দিলে তাদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশের গুলিতে জশ মিয়া, শাওন আহমেদ ও নাজমুল নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয়রা আরও জানান, মানিকারচর জামে মসজিদের ইমাম নাজমুল হাসান মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতরা প্রবেশ করে ভোট দিচ্ছে। এ ঘোষণার পরই উত্তেজনা শুরু হয়, যা পরে সংঘর্ষে গড়ায়। ওই ইমামকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।