বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আহ্‌ছানউল্লার অধীনে তিন ব্যাংকের দুই পরীক্ষা স্থগিত

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:১২

পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ ও সময়সূচি যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়ায় আহ্‌ছানউল্লা ইউনিভার্সিটির অধীনে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অন্তর্ভুক্ত তিন ব্যাংকের দুই পদের লিখিত পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সোনালী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার (আইটি) এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংকের অ্যাসিসট্যান্ট ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।

এর মধ্যে সিনিয়র অফিসার আইটি পদের পরীক্ষা ১৩ নভেম্বর এবং অ্যাসিসট্যান্ট ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদের পরীক্ষা ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ ও সময়সূচি যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

এর আগে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আহ্‌ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।

এক অফিস আদেশে বুধবার তিনজনকে বরখাস্ত করার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের একটি অনুলিপি নিউজবাংলার হাতে এসেছে।

বরখাস্তকৃত তিন কর্মকর্তা হলেন টেকনিশিয়ান (হার্ডওয়্যার অ্যান্ড নেটওয়ার্ক) মোক্তারুজ্জামান রয়েল, ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট মো. পারভেজ মিয়া এবং অফিস অ্যাটেন্ডেন্ট দেলোয়ার হোসেন।

এ ছাড়া পাঁচ ব্যাংকের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার জনতা ব্যাংকের একজন সিনিয়র অফিসারসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়ন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। তারা হলেন সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন, সোহেল রানা ও ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এ বি জাহিদ।

গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদাত হোসেন সোমা বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।’

পাঁচ ব্যাংকের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেপ্তার ওই পাঁচজন হলেন মোক্তারুজ্জামান রয়েল, শামসুল হক শ্যামল, জানে আলম মিলন, মোস্তাফিজুর রহামান মিলন ও রাইসুল ইসলাম স্বপন। তাদের মধ্যে তিনজন বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে কর্মরত।

তাদের গ্রেপ্তার করে বুধবার ব্রিফিংয়ে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আহ্‌ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, কয়েকটি সরকারি ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা মিলে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের কাছে ৫-১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। আগেভাগে যাদের প্রশ্নপত্র দেয়ার জন্য চুক্তিভুক্ত করা হয়, তাদের ‘গোপন বুথে’ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করানো হয়। টাকা নিয়ে প্রশ্নপত্র পেয়েছে এমন ২ শতাধিক পরীক্ষার্থীর তালিকা পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় ৬ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে এ পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ চাকরিপ্রত্যাশী।

এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক ১৮৩টি, জনতা ব্যাংক ৫১৬, অগ্রণী ব্যাংক ৫০০, রূপালী ব্যাংক ৫ এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ৭টি পদ রয়েছে।

পরীক্ষার পরপরই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। একাধিক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, পরীক্ষা চলাকালীনই প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র ফেসবুকে পাওয়া যায়।

পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে পরের দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জফলে কবিরের কাছে স্মারকলি‌পি দেয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একটি দল।

স্মারকলি‌পিতে পরীক্ষার্থীরা জানান, ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত পাঁচ ব্যাংকের সম্মিলিত পরীক্ষা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষা শুরুর আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া গেছে।

পরীক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পরেও পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় পর্যবেক্ষক কম ছিলেন এবং কেন্দ্রে কেন্দ্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছাতে দেরি হয়েছে।

এ ছাড়া নানা অব্যবস্থাপনা ও চরম অনিয়ম ছিল বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন পরীক্ষার্থীরা। ওই পরীক্ষা বাতিলসহ দ্রুত নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান তারা।

এ বিভাগের আরো খবর