বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ফ্রান্স

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:২৬

ফরাসি প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘ফ্রান্সের সকল নেতার সঙ্গে বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক চলাকালে রোহিঙ্গা ইস্যুর ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।’

রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ফ্রান্সকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

বুধবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী জঁ কস্তেক্সসহ ফ্রান্সের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় এই সংকটের স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোমেন বলেন, ‘ফ্রান্সের সকল নেতার সঙ্গে বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক চলাকালে রোহিঙ্গা ইস্যুর ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।’

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের নানামুখী প্রচেষ্টার কথাও ফরাসি প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দ্বি-পাক্ষিক, ত্রি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকভাবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমনকি আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিটি) গিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে এবং এর সমাধানও তাদের হাতে।’

মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থান বিষয়ে মন্ত্রী জানান, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা শাসকদের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনা করেনি বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্রান্সের নেতাদের বলেছি, পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে এবং তারা মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি বন্ধ করে দিয়েছে।’

এক্ষেত্রে, সামরিক সরকারের আমলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জন্য সংলাপের ব্যাপারে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে কি-না জানতে চেয়েছে ফ্রান্স।

জবাবে মোমেন বলেন, ‘আমরা তাদেরকে বলেছি, ১৯৭০ ও ১৯৯০ এর দশকে মিয়ানমারে সামরিক সরকার ছিল। কিন্তু ওই সময় তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ১৯৯২ সালে প্রায় দুই লাখ ৫৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাদের মধ্য থেকে দুই লাখ ৩৬ হাজার জনকে মিয়ানমারের তৎকালীন সামরিক সরকারের সঙ্গে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হয়। ১৯৭০-এর দশকেও একইভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা হয়েছিল বলেও তিনি জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ফ্রান্সকে বলেছি, গত চার বছর ধরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে কোন সংঘাত ঘটেনি। সেখানে কোনো সহিংসতা হয়নি। কাজেই, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য এখনই উপযুক্ত সময়।’

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে সম্মত আছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘তারা বলেছে, তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। মর্যাদা সহকারে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত নেয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারেও তারা রাজি আছে। তবে তারা কোনো কিছু বাস্তবায়ন করছে না। আমরা আমাদের কষ্টের কথা বলেছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রান্সের নেতারা বাংলাদেশের কাছে জানতে চেয়েছেন রোহিঙ্গা ইস্যুর ব্যাপারে আসিয়ান’কে কিছু জানানো হয়েছে কি-না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তরে বলেছি, অবশ্যই আমরা আসিয়ান’কে জানিয়েছি।’ ফ্রান্স জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তারাও আসিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা আসিয়ানকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে মোমেন জানান, এ ক্ষেত্রে আসিয়ানের ধীরগতি এবং সদস্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সংস্থাটির অপারগতার কথা ফরাসি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এই ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের নেতাদের পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর