বাংলাদেশ পুলিশের জন্য বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ছয়টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়া আমদানি করা হয়েছে।
বুধবার রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে একটি এসি অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই ছয়টি ঘোড়া বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
ঘোড়াগুলো এখন বেনাপোল বন্দরেই রয়েছে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান।
এর আগে এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য গত ৩ নভেম্বর ছয়টি ঘোড়া আমদানি করা হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, ঘোড়াগুলো রপ্তানি করেছে ভারতের বিধাতা সাপ্লায়ার। এর মূল্য ৬২ হাজার ৪০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৩ লাখ টাকার বেশি।
আমদানি করা ঘোড়াগুলো ছাড় করিয়েছে বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স মাধ্যম।
বৃহস্পতিবার আমদানি শুল্ক পরিশোধ করে বেনাপোল থেকে ঘোড়াগুলো ছাড় পাওয়ার পর সেগুলো রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলার উদ্দেশে রওনা দেবে বলেও জানান স্থলবন্দরের এই কর্মকর্তা।
এদিকে ঘোড়া দেখতে পোর্ট থানার সামনে ব্যাপকসংখ্যক উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। দিল্লি থেকে রওনা দিয়ে চার দিন লেগেছে ঘোড়াবাহী অ্যাম্বুলেন্স বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে।
বেনাপোল বন্দর থেকে ঘোড়াগুলো বুঝে নিয়েছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স মাধ্যমের প্রতিনিধি এনামুল হক।
বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর আরও জানান, পুলিশের জন্য আমদানি করা ঘোড়াগুলো দ্রুত খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ঘোড়াগুলো রক্ষণাবেক্ষণের তদারকি করছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন বলেন, ‘আমদানি করা ঘোড়া দ্রুত খালাসের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে করা হয়েছে।’
শার্শা উপজেলার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরে ঘোড়াগুলো প্রবেশের পর এদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেগুলো সুস্থ মনে হওয়ায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।’