টানা দরপতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজারে পরপর দুই দিন বড় উত্থানের পর তৃতীয় দিনেও লেনদেনের অর্ধেকটা সময় চাঙা থাকলেও শেষ দুই ঘণ্টায় বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতন দেখা গেছে।
আগের দুই দিনে ১৯০ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর তৃতীয় কর্মদিবসে সূচক সাত হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে আরও উপড়ে উঠে যায়। তবে শেষ পৌনে দুই ঘণ্টায় বিক্রয় চাপে সূচক একপর্যায়ে আগের দিনের তুলনায় কমে যায় কি না, এমন আশঙ্কাও দেখা যায়।
তবে শেষ পর্যন্ত এমনটি হয়নি। যদিও দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৫৬ পয়েন্ট কমে সাত হাজারের নিচে শেষ হয়েছে লেনদেন।
আগের দিন ৩০১টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফুটলেও এদিন দেখা গেছে উল্টো চিত্র। ১১৫টি কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ে, বিপরীতে দর হারায় ২০৮টি কোম্পানি। বাকি ৫০টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পারে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস লেনদেন শুরুই হয় আগের দিনের মতোই ৪০ পয়েন্ট বেড়ে গিয়ে। এরপর টানা বাড়ে এক ঘণ্টা ১২ মিনিট। সে সময় সূচক আবার ৭ হাজার পয়েন্টের ওপর গিয়ে লেনদেন হতে থাকে ৭ হাজার ৫১ পয়েন্টে।
যতদিন সূচক পড়েছে, তার প্রায় প্রতিদিনই এই সময় থেকে শুরু হয় ভাটার টান। সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৩৮ পয়েন্ট কমার পর দুপুর ১২টা থেকে আবার বাড়তে থাকে বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত। সেখান থেকে টানা পড়ে বেলা পৌনে ২টায় সূচক ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে।
আগের দুই দিন বড় উত্থান শেষে বৃহস্পতিবারও একই পথে ছিল লেনদেন। তবে বেলা শেষে বিক্রয় চাপে সূচক নেমে আসে ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে
গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মাইলফলক অতিক্রম করার পর পুঁজিবাজার নিয়ে উচ্চাশা দেখা গিলেও এক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু হয় দর সংশোধন। তবে এই সংশোধনের সময় বড় মূলধনি কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে সূচক পড়েনি, উল্টো ১০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা বেড়েছে।
তবে এসব কোম্পানির মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, লাফার্জ হোলসিম, আইসিবি, পাওয়ারগ্রিড, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মার মতো কোম্পানি দর হারাতে থাকলে সূচকও কমে আসে। পাশাপাশি পতনের মধ্যে থাকা ওয়ালটন, গ্রামীণফোন, রবিও আরও দর হারায়।
এই পরিস্থিতিতে সূচক পড়তে পড়তে গত ১ নভেম্বর ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। সেটি আরও কমে ৬ হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে নেমে আসে গত ২৫ অক্টোবর। এরপর টানা চার দিনের উত্থানে সূচক ৭ হাজার পয়েন্টে ওঠে ৩১ অক্টোবর।
টানা চার দিন উত্থানের কারণে বাজার সংশোধন শেষ হয়েছে কি না, এমন আলোচনার মধ্যে আবার শুরু হয় পতন এবং এবার আরও বড় আকারে। টানা সাত কর্মদিবসের মধ্যে এক দিন কেবল ৮ পয়েন্ট বাড়লেও বাকি ছয় দিন পরে ৮ নভেম্বর তা নেমে আসে ৬ হাজার ৭৯৯ পয়েন্টে।
সূচকের এ অবস্থান ছিল গত ১৯ আগস্টের পর সর্বনিম্ন। সেটি আরও পড়ে যায় কি না, এই আলোচনার মধ্যে গত মঙ্গলবার বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। উত্থান হয় ৬৮ পয়েন্ট। বুধবার বাড়ে ১১৪ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে ক্রমেই কমতে থাকা লেনদেনও কিছুটা বাড়ে।
দুই সপ্তাহ আগেও টানা চার কর্মদিবস সূচকের উত্থান দেখার পর আবার দরপতনের কারণে এবার টানা তিন কর্মদিবস উত্থানও দর সংশোধন শেষের ইঙ্গিত দিয়েছে কি না, এ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।
লেনদেনের গতি আবার উৎসাহী করবে শেয়ারধারীদের। চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কর্মদিবসে লেনদেন কোনো রকমে এক হাজার কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার লেনদেন ছিল ১২৪ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বুধবার সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন সেখান থেকে কিছুটা বাড়ে। আর পরদিন তা আরও বেড়ে আট কর্মদিবস পর দেড় হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে যায়।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সূচক যখন ৫ হাজার থেকে ৭ হাজারে পৌঁছেছিল তখন সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছিল। দুই হাজার পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে বাজার সংশোধনে কিছুটা সময় লাগবেই।’
তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যখন সূচকের ক্রমাগত পতন হয়েছে তখনও কিন্তু লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘরেই ছিল। কিন্তু এক সময় যখন ধারাবাহিক পতন হয়, সে সময় লেনদেন তিন থেকে চার শ কোটি টাকায় নেমে আসত। সে অবস্থা তো এখন হয়নি।’
সূচক বেড়ে গিয়েও পরে অবস্থান ধরে রাখতে না পারায় প্রধান ভূমিকায় ছিল এই কোম্পানিগুলো
গত ৩১ অক্টোবর লেনদেন ছিল ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ২ লাখ টাকা। এরপর প্রতিদিনই লেনদেন ছিল আজকের তুলনায় কম।
প্রত্যাশিত আয় করতে না পারার পর ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া আইসিবির দরপতন, বড় মূলধনি লাফার্জ, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, পাওয়ারগ্রিড, অলিম্পিক, ওরিয়ন ফার্মা, প্রত্যাশার চেয়ে কম লভ্যাংশ দেয়া (দুই বছর মিলিয়ে শেয়ারে ৩৫ পয়সা) আলিফ, এনআরবিসি, লঙ্কাবাংলা ও ইবিএলের দরপতন টানা তৃতীয় দিন সূচকের বড় উত্থান ঠেকিয়েছে।
অন্যদিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের ডানা উত্থান, গ্রামীণ ফোন, রবি, ওয়ালটন, জেনেক্সিল ইনফোসিসি, আইএফআইসি ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার, ট্রাস্ট ব্যাংক, রেনাটা ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণে সূচক শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক থাকে।
খাতওয়ারি বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল বিবিধ খাতে। আসলে গোটা খাতে নয়, এই খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মোট লেনদেনর প্রায় এক চতুর্থাংশই একটি কোম্পানিতে হয়েছে। এই কোম্পানিটির কারণেই লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত।
সূচক বৃদ্ধিতেও প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমেটেড, লেনদেনের প্রায় এক চতুর্থাংশও হয়েছে একটি কোম্পানিতেই
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, তথ্য প্রযুক্তি, প্রকৌশলী, আর্থিক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সেবা, খাদ্য, সিমেন্ট, সাধারণ বিমা, জীবন বিমা খাত ছিল ধারাবাহিকভাবে পরের অবস্থানে।
শেয়ারদরের বিবেচনা নিলে তুলনামূলক ভালো দিন গেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বাকি সবগুলোতেই বেশিরভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বাজে দিন গেছে আর্থিক খাতে। এই খাতের প্রায় সব কোম্পানি দর হারিয়েছে। বস্ত্র, তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ ও রসায়ন খাতেও দর বেড়েছে অল্প কিছু কোম্পানির, কমেছে বাকিগুলোর।
লেনদেনের প্রায় এক চতুর্থাংশ বেক্সিমকোর
মোট লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেনই হয়েছে ৩৪২ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকার। শতকরা হারে কেবল একটি কোম্পানিতেই মোট লেনদেনের ২২.৭৬ শতাংশ হয়েছে।
কোম্পানিটির ১ কোটি ৮৭ লাখ ৯ হাজার ৪৮৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এই কোম্পানিটির শেয়ারদর গত দেড় বছরে ১৩ টাকা থেকে ছাড়িয়ে গেছে ১৮০ টাকা এবং তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া বাজার সংশোধনের আঁচ এখনও পড়েনি এই একটি কোম্পানিতেই।
গত সাত কর্মদিবসের মধ্যে ছয় দিনই বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিটির শেয়ারদর এদিনও বেড়েছে ৩.৬৪ শতাংশ।
বেক্সিমকো লিমিটেডে তুমুল আগ্রহের কারণে অন্যান্য সব খাতকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে বিবিধ খাত
লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল জেনেক্স ইনফিসিস। তথ্য প্রযুক্তি খাতের এই কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৮টি শেয়ার।
কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৫৫ শতাংশ। আগের দিনের তুলনায় যোগ হয়েছে ১২ টাকা ৩০ পয়সা। প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়িয়েছে ১৫৬ টাকা ১০ পয়সা।
ওষুধ খাতের কোম্পানি ওরিয়নফার্মার মোট লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে মোট ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ৩টি শেয়ার।
তারপরে থাকা পর পর দুটি কোম্পানি ছিল ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ও এনআরবিসি।
আইএফআইসিতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার, শেয়ারদর বেড়েছে ৪০ পয়সা বা ২.১৬ শতাংশ। এনআরবিসিতে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। শেয়ারদর কমেছে ৬০ পয়সা বা ১.৫৭ শতাংশ।
বস্ত্র খাতের আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সার্ভিস ও আবাসন খাতের সাইফ পাওয়ারটেক, সিমেন্ট খাতের লাফার্জ হোলসিম ও বিমা খাতের মালেক স্পিনিং ছিল শীর্ষ লেনদনে হওয়া দশ কোম্পানির তালিকায়।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে যেগুলো
বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা যেসব কোম্পানিগুলো বৃহস্পতিবার আশা জাগিয়েছে তার মধ্যে প্রথমেই ছিল ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংক খাতের এই কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা। এরজন্য আগের দিনের ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে শেয়ার প্রতি ৯.৯৩ শতাংশ বেড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী কোম্পানি বিকাশের শেয়ার বিক্রির খবরে এই উত্থানে কেবল একটি দামেই বিক্রি হয়েছে শেয়ার।
ব্যাংকটির মোট লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আর হাতবদল হয়েছে মোট ১৭ লাখ ২৮ লাখ ৪৯০টি শেয়ার।
সদ্য তালিকাভুক্ত বিমা খাতের সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার বিক্রিতে এদিনও অনীহা ছিল। পর পর পাঁচ দিন সর্বোচ্চ দামেও বিক্রেতা না থাকা কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৫৮ শতাংশ।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা সাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.১৪ শতাংশ। ফলে এদিন নয় শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির।
সূচক বাড়লেও বেশিরভাগ খাতেই বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে, কমেছে লেনদেনও
আট শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়া একমাত্র কোম্পাটি ছিল জেনেক্স ইনফোসিস, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৫৫ শতাংশ।
সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এমন কোম্পানি ছিল দুটি। এগুলো হচ্ছে কপারটেক যার শেয়ার দর ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৭.৯৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৬০ পয়সা। সেলভো ক্যামিকেলের দর বেড়েছে ৭.৪৪ শতাংশ।
দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ছিল জিমিনি সি ফুড, যার দর বেড়েছে ৬.৬৭ শতাংশ। পাঁচ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এমন কোম্পানি ছিল একটি। পাট খাতের সোনালী আঁশ, যার দর বেড়েছে ৫.৩৫ শতাংশ।
এদিন তিন থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে পাঁচটির। এরমধ্যে ছিল মেঘনা পেট, মনোস্পুল পেপার, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো লিমিটেড ও বিচ হ্যাচারি।
সবচেয়ে কম দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল এএমসিএল (প্রাণ), যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে দশমিক ০৯ শতাংশ।
দর পতনের শীর্ষ ১০
করপোরেট ঘোষণার কারণে বৃস্পতিবার আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না। ফলে কোম্পানির শেয়ারদর বাড়া ও কমার ক্ষেত্রে কোনো সীমা ছিল না। কোম্পানি তার শেয়ারধারীদের ৩.৫ শতাংশ বা ৩৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিন ১৩.৮২ শতাংশ দর হারিয়েছে।
দর পতনের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের গোল্ডেনসন। শেয়ার প্রতি ২৭.৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটির দর কমেছে ৯.৯৫ শতাংশ।
হামিদ ফেব্রিক্সের শেয়ার দর কমেছে ৬.৮৯ শতাংশ। মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর কমেছে ৫.৫৪ শতাংশ।
দর পতনের তালিকায় এদিন সবচেয়ে বেশি কোম্পানি ছিল বস্ত্র খাতের। নন ব্যাংক আর্থিক খাতের আইসিবি ছাড়া শীর্ষ আটের ছয়টি ছিল বস্ত্র খাতের।
এর মধ্যে অলটেক্সের ৪.৭৩ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনার্সের দর ৪.৬৩ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের ৪.৫৭ শতাংশ কমেছে।
দর পতনের শীর্ষ দশের বাকি দুই কোম্পানির মধ্যে ছিল বিমা খাতের প্রগতি লাইফ, যার শেয়ারদর কমেছে ৪.৪৭ শতাংশ আর ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৪.৪৩ শতাংশ।
দর পতনের বৃহস্পতিবার তিন থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর কমেছে ১৪টি কোম্পানির আর চার থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর কমেছে ১০টি কোম্পানির। প্রায় এক শ কোম্পানির শেয়ার দর এক থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।