নরসিংদী রায়পুরার বাঁশগাড়িতে নির্বাচনি সহিংসতায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনে।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের এখন পর্যন্ত নরসিংদীতেই মারা গেলেন ৭ জন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঁশগাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ইউসুফ।
বাঁশগাড়িতে নিহতরা হলেন সালাউদ্দিন মিয়া, দুলাল মিয়া ও মো. জাহাঙ্গীর। তাদের মধ্যে সালাউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাতুল হাসান জাকির সমর্থক। আর দুলাল বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী আশরাফুল হকের সমর্থক বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে বাঁশগাড়ি ইউপতে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে ক্যাম্প ইনচার্জ ইউসুফ জানান, ভোট শুরুর আগে ইউপির কেন্দ্রগুলো দখলের চেষ্টা করেন নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে দা, টেঁটা নিয়ে তারা একে অপরের ওপর চড়াও হন। প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে গুলিও ছোড়া হয়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ১৫ জন।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে সালাউদ্দিনকে সদর হাসপাতালে, জাহাঙ্গীরকে জেলা হাসপাতাল ও দুলালকে রায়পুরা উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আহত ১৫ জনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।