ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোটের দিন সকালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাশার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বসতঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১১ জন আহত হয়েছেন।
তুলাশার ইউনিয়নে উপুরগাও এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তুলাশার ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদ ফকিরের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল হোসাইনের কর্মীরা আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৯টি বসতঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করে। হামলার সময় ১১ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আট জনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর একজনকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। ভোট শেষ হলে এ হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করব।’
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রহিমা বেগম বলেন, ‘স্যান, সরকি, চাপাতি, বোম, ঢাল লইয়া দশ-বারো জোন (জন) ঘরে ডুইক্কা (ঢুকে) কোপাইছে। ভাঙচুর করছে। আমি ভয়ে নাতিডারে লইয়া বাইর অইয়া (হয়ে) গেছি। আমাগো ঘরবাড়ি সব ভ্যাইগা (ভেঙে) মালামাল লইয়া (নিয়ে) গেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
৮নং ওয়ার্ডের সদস্য পদের প্রার্থী মান্নান দেওয়ান বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি। হেইয়ার (তার) লিগ্গা (জন্য) ওরা আমার দোকানপাট ভাঙচুর করছে। আমার একটাই দোকান। মাল সামানা ছিল; নগদ টাকা ছিল সব লইয়া গেছে। আমি ওখন কি কইর্যা সংসার চালাই; কিভাবে বাঁচুম?’
পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিন্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।