বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেইনট্রিতে ধর্ষণ: আসামিরা আদালতে, রায়ের জন্য অপেক্ষা

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২১ ১০:১০

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। তাদের রাখা হয়েছে ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতের গারদখানায়। আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার।

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষে প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে।

সকাল ৯টার দিকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। প্রথমে তাদের রাখা হয় ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতের গারদখানায়। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তোলা হয় এজলাসে। আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। তবে বিচারক ঠিক কখন এ রায় পড়া শুরু করবেন তা বলা যাচ্ছে না।’

এই রায় উপলক্ষে আদালতপাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য প্রায় অর্ধশত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গত ৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ১২ অক্টোবর দিন রাখে। ওই দিন জামিনে থাকা এ মামলার পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর তারিখ রাখে আদালত। ওই দিন ‘গরিবের আইনজীবী’ খ্যাত আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে নিম্ন আদালতের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রায় হয়নি। তারিখ রাখা হয় ১১ নভেম্বর।

৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা চার বছরের পুরোনো এই মামলার বিচার কার্যক্রম সমাপ্তির জন্য যুক্তিতর্কের শুনানিতে অংশ নেন।

এতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ এবং বাদীর নিজ খরচায় নিয়োজিত আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বিচারকের কাছে বলেছিলেন, ‘যেটি যৌক্তিক মনে হয় সেটিই রায়ে উঠে আসুক।’

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দুজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী আদালতে এসে সাক্ষ্য দেননি। এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ জমা দেয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত আছে, পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় আদালত যদি মনে করে আসামিদের দণ্ড দিতে পারে।’

এর আগে গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ শুনানিতে মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

অন্য চার আসামি হলেন সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

গত ২২ আগস্ট মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। ওই বছরের গত ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর