এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগের মধ্য দিয়ে ফেনীর ফুলগাজীর ছয় ইউনিয়নে ভোট শুরু হয়েছে। একাধিক ইউনিয়নের কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রতিদ্বন্দ্বীদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছেন। কোথাও জোর করে নৌকার প্রার্থীকে ভোট দেয়ার অভিযোগ করছেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে আমজাদ হাট ইউনিয়নের মণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সুরুজ্জামানের এজেন্ট ছায়েদুল হকের এজেন্ট ফরম নিয়ে গেছে বহিরাগতরা। তাকে কেন্দ্র থেকে বেরও করে দেয়া হয়। পরে বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এজেন্ট ছায়েদুলকে বসানো হয়।
জাসদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. সুরুজ্জামান বলেন, ‘আমজাদহাটে বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মীর হোসেন মিরু বলেন, ‘আমার কোনো বহিরাগত সন্ত্রাসী নেই। আমার সব ভোটার ভোট দিতে এসেছে।’
একই কেন্দ্রে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘ভেতরে থাকা এজেন্টরা জোর করে অন্য প্রতীকে ভোট দিচ্ছেন।’
দরবারপুর ইউনিয়নের জাসদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলাল বৈদ্য বলেন, ‘দু-একটি কেন্দ্র ছাড়া বাকি কেন্দ্রগুলোতে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। তাদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে।’
এ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী নিজাম উদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।’
জিএম হাট ইউনিয়নের জাসদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আ স ম শাহ আলম বাবুল বলেন, ‘সকাল থেকে আমার এজেন্টরা কেন্দ্রে যাওয়ার পথেই তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। আমি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছি। শুরুতে এই অবস্থা হলে সারা দিনে কী অবস্থা দাঁড়াবে?’
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন প্রার্থী। ইউনিয়নগুলো হলো ফুলগাজী সদর, আনন্দপুর ও মুন্সিরহাট ইউনিয়ন।
এ ছাড়া বাকি তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী এবং ৬টি ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ডে সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ২০৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর সংরক্ষিত ১৮ পদে ৫০ জন মহিলা সদস্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
শুধু সদর ইউনিয়নে ইভিএমে এবং বাকি পাঁচটিতে ব্যালেটের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে। সব কটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ চার শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।