সহিংসতাপূর্ণ প্রচারণার পর দেশজুড়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই ধাপে ভোট চলছে ৮৩৫টি ইউনিয়নে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোট ঘিরে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবেন বলে প্রত্যাশা নির্বাচন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির।
ভোট উপলক্ষে নির্বাচনি এলাকাধীন যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বা নির্বাচনি কার্যক্রমের জন্য নির্ধারণ করা হচ্ছে, সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি।
দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়নে ভোট হবে বলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পরে তফসিল থেকে বাদ দেয়া হয় একটি ইউনিয়ন। আর আনা জটিলতায় নির্বাচন স্থগিত করা সাতটি ইউনিয়নের ভোট। বাকিগুলোর মধ্যে পাঁচটিতে সব সপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হচ্ছে ৮৩৫টি ইউনিয়নে।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়, এই ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৮১ জন। এ ছাড়া সংরক্ষিত সদস্য (নারী ভাইস চেয়ারম্যান) পদে ৭৩ জন এবং সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ২০৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
বাকি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ হাজার ৩১০ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রার্থী ৯ হাজার ১৬১ জন আর সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৮ হাজার ৭৪৭ জন।
এই ধাপে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৮ হাজার ৪৯২টি। ইভিএমে ভোট হবে ২০টি ইউনিয়নে।
দ্বিতীয় ধাপের ভোটের প্রচারণা ছিল বেশ সহিংসতাপূর্ণ। প্রচারণার সময় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
চলতি বছরের ৩ মার্চ প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউপি নির্বাচনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। ১১ এপ্রিল ওই ধাপের ভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়। একাধিক দফায় শেষ হয় প্রথম দফার নির্বাচন।
ইসি জানিয়েছে, প্রথম ধাপে দেশের ৩৬৪টি ইউপির ভোট হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপের পর তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ভোট হবে ১ হাজার ৩ ইউপিতে। ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ভোট হবে ৮৪০টি ইউপিতে। বাকি ইউপির নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে।