খুলনায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। তবে পুলিশ বলছে, লাঠিচার্জের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মহানগর বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহতেশামুল হক শাওন বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং ডিজেল, কেরোসিনসহ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। এতে যোগ দিতে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হকের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা পিকচার প্যালেস থেকে স্লোগান দিতে দিতে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসছিলেন।
বড় বাজার থেকে আসা আর একটি মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস। এই দুটি মিছিলে অংশ নেয়া নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের কাছাকাছি পৌঁছলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, অনিক আহমেদ, হাসান ফকির, সৈয়দ ইমরান, এম এম ইউসুফ, ইসমাইল হোসেন জিসান, আশরাফুল নাহিদ, ইসমাইল হোসেন, শামসাদ আবিদ, মারজান হোসাইন পরশ, আব্দুস সালাম, মেহেদী হাসান আহত হন। তাদের মধ্যে ইবাদুল ও তাজিম বিশ্বাসের হাত ভেঙে যায়।
লাঠিচার্জের পর দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপি নেতা শফিকুল আলম তুহিন। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এহতেশামুল হক শাওন, সুলতান মাহমুদ, শেখ সাদী, আজিজা খানম এলিজাসহ আরও অনেকে।
লাঠিচার্জের বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা হাসান আল মামুন জানান, মিছিলে কোনো লাঠিচার্জ করা হয়নি। তারা মিছিলের অনুমতি না নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিল। নিজেরা নিজেরা একজন আরেকজনের ওপর পড়েছে। কোনো মামলা বা আটক নেই।