৫ বছর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি আয় করে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভ্যানগার্ড বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
৩০ সেপ্টেম্বরে অর্থবছর শেষ করা ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ১৩ পয়সা আয় করে ১ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার ফান্ডটির ট্রাস্টি সভায় এই লভ্যাংশ অনুমোদিত হয় বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা অনুযায়ী আয়ের ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে বাধ্য মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো। তবে আগের বছর লোকসান থাকলে তা সমন্বয় করা যায়। তবে গত বছর বেশির ভাগ ফান্ড লোকসান দিলেও এই ফান্ডটির লোকসান ছিল না। সেই হিসাবে পুরো আয়ের ওপরই লভ্যাংশ দিয়েছে তারা।
ফান্ডটির এই আয় ২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ। প্রথম বছর ইউনিটপ্রতি ৪৭ পয়সা আয় করে ৭৫ পয়সা, ২০১৭ সালে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩ পয়সা আয় করে ১ টাকা, পরের বছর ইউনিটে ৪১ পয়সা আয় করে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেয় ফান্ডটি।
২০১৯ সালে তারা লোকসানে পড়ে। ইউনিটপ্রতি ১৪ পয়সা লোকসান দেয়ার কারণে কোনো লভ্যাংশ দেয়া হয়নি। তবে ২০২০ সালে কঠিন পরিস্থিতিতেও ইউনিটপ্রতি ৩২ পয়সা আয় করতে সক্ষম হয় তারা।
ফান্ডটির ইউনিট মূল্যের বিবেচনায় এই লভ্যাংশ বেশ আকর্ষণীয়। ট্রাস্টির সভার দিন প্রতিটি ইউনিট বিক্রি হয়েছে ১০ টাকা করে। এর মধ্যে দেড় টাকা হিসেবে ইউনিট মূল্যের বিবেচনায় ১৫ শতাংশ আসে মুনাফা।
তবে বিনিয়োগকারীরা খুব একটা আকৃষ্ট হবেন কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। এর কারণ, চলতি বছর লভ্যাংশ নেয়ার পর বিরূপ অভিজ্ঞতা।
চলতি বছর পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ মিউচ্যুয়াল ফান্ডই আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার পরও বিনিয়োগকারীদের হতাশার কারণ হয়েছে। এর কারণ, যে ফান্ডের লভ্যাংশ যত বেশি এসেছে, তার দাম কমেছে তত বেশি। শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে, লভ্যাংশ যারা পেয়েছেন, তাদের বেশির ভাগই লোকসানে আছেন। কারণ, লভ্যাংশ হিসেবে যত টাকা পাওয়া গেছে, ইউনিট মূল্য কমে গেছে তার চেয়ে বেশি।
এই অভিজ্ঞতায় ৯ টাকার ইউনিট মূল্যের এল আর গ্লোবাল সম্প্রতি ১৫.১ শতাংশ অর্থাৎ ইউনিটে ১ টাকা ৫১ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার পরেও ইউনিট মূল্য বাড়েনি বললেই চলে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ইউনিট মূল্য ছিল ৯ টাকা। এরপর সেটি ৯ টাকা ৪০ পয়সায় উঠে গেলেও পরে দাম কমে আবার ৯ টাকায় নেমে আসে। তবে গত দুই দিনে ২০ পয়সা বেড়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর এল আর গ্লোবালে ইউনিটপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৩৭ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে এই সম্পদ ছিল ১০ টাকা ৫৩ পয়সা।
লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ ডিসেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের সেদিন ইউনিট ধরে রাখতে হবে।
গত এক বছরে ইউনিটটির মূল্য ৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।