পাবনার ভাঙ্গুড়ায় খাসজমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাবা-ছেলের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করেছেন যুবদল নেতা ও তার সঙ্গীরা।
এ সময় বাবা গোলাম হোসেনের বাম হাত কবজি থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজিব হোসেন ঘাড়ে গুরুতর আঘাত পায়।
হামলাকারী মোজাম্মেল অষ্টমনিষা ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ হামলায় তার সঙ্গে অংশ নেন ইসমাইল হোসেনের ছেলে মধু, মুন্নাফ ও মোজাম্মেলের ছেলে ফয়সাল। তারা সবাই উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের গদাই রুপসী গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আহত ও হামলাকারীদের বাড়ির পেছনে ৩৩ শতাংশ আয়তনের একটি খাসজলাশয় রয়েছে। যা দীর্ঘদিন গোলাম হোসেন ভোগদখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি জলাশয়টি হামলাকারীরা গোলাম হোসেনের কাছ থেকে লিজ নিয়ে মাছের আবাদ করছিলেন।
আহতের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্তরা লিজ চলার সময়ে কৌশলে জলাশয়ের জাল কাগজপত্র তৈরি করে তাদের বলে দাবি করলে ঝামেলার শুরু হয়। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার জলাশয়ের পানি সেচের জন্য গোলম তিনটি শ্যালো মেশিন বসায়।
‘বুধবার সকালে হামলাকারীরা হাতুড়ি, চাপাতি ও হাঁসুয়া নিয়ে শ্যালো মেশিন ভাঙচুর করে। ভাঙচুর দেখে গোলাম হোসেনের ছেলে রাজিব এগিয়ে গেলে তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় তারা। এ সময় গোলাম হোসেন এগিলে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।’
পরে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে গেলে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
চিকিৎসক সওগাত এহসান বলেন, ‘গোলাম হোসেনের কবজি ধারালো কিছুর আঘাতে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। রাজিবের গলায়ও ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ওসি ফয়সাল জানান, আহতদের পরিবার থেকে এখনও কোনো মামলা করা হয়নি।