জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা, আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেয়ার অভিযোগের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।
মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বুধবার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণের আবেদন করে।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত আগামী ৮ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। তারা সবাই কারাগারে বন্দি।
মামলার তদন্ত শেষে গত ৫ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এই চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটার থেকে ১ হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দ করার কথা বলা হয়েছে।
গত বছরের ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ মামলাটি করে।