বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত: সিপিডি

  •    
  • ১০ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৮

‘বিপিসির ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি আছে, অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়। ভর্তুকি থেকে সরকারকে বের হতে হবে, তবে এখন সেই উপযুক্ত সময় নয়। কারণ এখনও করোনা মহামারি বিদ্যমান।’

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সরকারের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি। বেসরকারি গবেষণা সংস্থাটি বলেছে, তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে অর্থনীতি ও জনগণের জীবনযাত্রায় চাপ বাড়বে, তৈরি হবে অশোভন পরিস্থিতি। তাই জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করা উচিত।

বুধবার সিপিডি কার্যালয়ে ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কতটুকু প্রয়োজন ছিল?’ শীর্ষক হাইব্রিড মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি তেলের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

ড. ফাহমিদা বলেন, যে হারে দাম বাড়ানো হয় বাজারে তার চেয়ে বেশি হারে প্রভাব পড়ে। তেলের দাম ২৮ শতাংশ বাড়ানো হলেও বাসের ভাড়া প্রকৃতপক্ষে ৫০ শতাংশ বেশি নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, মূল্য নির্ধারণের মেকানিজমে আমরা বৈজ্ঞানিক কোনো মেথড দেখি না। আমরা যদি আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকি, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন মূল্য কম থাকে তখন সেটার সুফল কেন জনগণ পায় না? যখন আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হয়, লোকসানের দোহাই দিয়ে দাম বাড়ানো হয়। এটা বৈজ্ঞানিক বা সঠিক যুক্তি বলে মনে হয় না।

মূল্যবৃদ্ধির নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরে জ্বালানি তেলের দাম আগের অবস্থায় ফিরিয়ে সুপারিশ করেন তিনি।

সিপিডি বলছে, জ্বালানি তেলের মূল্যস্ফীতির চাপ ধনীদের স্পর্শ করবে না। তবে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের অভিঘাত তৈরি হবে। তেলের দাম বৃদ্ধি সরকারের রাজনৈতিক ভুল। প্রণোদনা হিসেবেও এই ব্যয় সমন্বয় করা যেত। আর ধর্মঘট করে চাপ দিয়ে বাসের ভাড়া অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে নেয়া রাজনৈতিক দুর্বলতার ফল বলে মনে করে সিপিডি।

জ্বালানি তেলের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য বিশ্লেষণ করে সিপিডি জানায়, গত সাত বছরে এ বাবদ সরকারের লোকসানের চেয়ে মুনাফার পরিমাণ বেশি। এ ছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিক্রি ও সরবরাহ পর্যায়ে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিলেই দাম বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়তো না। করোনার অভিঘাত থেকে পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় জ্বালানি তেলের দর বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সাধারণ জনগণ চাপে পড়বে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে।

বিপিসি’র ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি আছে, অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়। ভর্তুকি থেকে সরকারকে বের হতে হবে, তবে এখন সেই উপযুক্ত সময় নয়। কারণ এখনও করোনা মহামারি বিদ্যমান।

সংস্থার সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্থনেতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। নৈতিকভাবে ঠিক হয়নি। রাজনৈতিকভাবেও এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর