রাজধানীতে আর ওয়েবিলে বাস চলবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। সেই সঙ্গে কোনো বাস সিটিং সার্ভিসে না চালানোর কথাও বলেন তিনি।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মালিক সমিতির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিলের মাধ্যমে কোনো বাস চলবে না। আমরা তিন দিন সময় দেব, এরপর কোনো গেটলক ও সিটিং সার্ভিসের বাস চললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত কয়েক বছর ধরে রাজধানীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কৌশল হিসেবে ওয়েবিল নামের এক ব্যবস্থা চালু করেছে বাস মালিক সমিতি।
ওয়েবিল এমন একটা ব্যবস্থা, যেখানে কোনো যাত্রী যদি মিরপুর থেকে শাহবাগ যেতে চান, তাহলে তাকে গুলিস্তান পর্যন্ত রাস্তার ভাড়া দিতে হয়।
এই ব্যবস্থায় বাস যেখান থেকে ছাড়ে সেখান থেকে যেখানে গিয়ে থামে সে পর্যন্ত রাস্তাকে কয়েকটি ভাগ করে নেয় চালকরা। এরপর সেখানে একটি চেকের মাধ্যমে যাত্রীর হিসাব রাখে এবং পরের চেক পর্যন্ত ভাড়া নিয়ে নেয়। এতে যদি চেক থাকে বাংলামটর, তাহলে কোনো যাত্রীকে মিরপুর থেকে শাহবাগ যেতে গেলে গুলিস্তান পর্যন্ত রাস্তার ভাড়া নিয়ে নেয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন থেকেই রাজধানীতে যাত্রীদের ক্ষোভ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় এনায়েত উল্যাহকে।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘ওয়েবিল হলো মালিপক্ষ তাদের গাড়ির ট্রিপের হিসাবের সুবিধার জন্য একটা সিস্টেম ডেভলপ করেছে। এটা স্ব স্ব কোম্পানি তাদের মত করে চালু করেছে। এখানে বিআরটিএর বৈধ-অবৈধ বলার কিছু নাই। ওয়েবিল আলাদা বিষয়, এটা মালিকদের একটা সিস্টেম। এর সঙ্গে বাড়তি ভাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। ওয়েবিল দেখিয়ে কেউ বাড়তি ভাড়া নিতে পারবে না।
‘দেখতে হবে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে কি না। আমরা সেজন্য ভাড়া তালিকা কার্যকর করছি। ওয়েবিলের মাধ্যমে মালিকরা তার ট্রিপের হিসাব রাখুক তাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু নির্দিষ্ট গন্তব্যে তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ওয়েবিলের মাধ্যমে বাড়তি ভাড়া নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাই সবকিছুর মূল হলো ভাড়া তালিকা কঠোরভাবে কার্যকর করা, আর তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা সেটা নিয়েই কাজ করছি। আমরা যেকোন মূল্যে নতুন ভাড়া তালিকা কার্যকর করতে চাই।’
মালিক সমিতির এই নেতা বলেন, ‘তালিকার বাইরে কেউ ভাড়া নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, সেখানে মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিবাদ করা হবে না। আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সব দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি জনগণ যেন কোনো ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন।’