ঢাকায় ১২০ কোম্পানির ৬ হাজার বাসের মধ্যে ১৯৬টি সিএনজিচালিত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
পরিবহন খাতের সংগঠনটি জানিয়েছে, সিএনজিতে চলা বাসের সংখ্যা মোট বাসের ৩.২৭ শতাংশ।
রাজধানীতে ৯৫ শতাংশ বাস সিএনজিতে চলে বলে একটি খবর প্রকাশ হয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
তিনি জানান, সিএনজিচালিত বাসের সংখ্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার হয়েছে।
বাসে সরকার নির্ধারিত নতুন হারের বেশি ভাড়া নেয়া হলে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন এনায়েত। তিনি জানান, মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ১১টি টিম থাকবে বিআরটিএ ও ডিএমপির মোবাইল কোর্টের সঙ্গে। তারা বাড়তি ভাড়া আদায় ও সব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
পরিবহন মালিক সমিতি জানায়, তাদের পক্ষ থেকে সিএনজিচালিত ও ডিজেলচালিত বাসে স্টিকার যুক্ত করে দেয়া হবে।
এনায়েত বলেন, ‘কোনো ধরনের সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিলের মাধ্যমে বাস চলবে না। আমরা তিন দিন সময় দেব। এরপর কোনো গেটলক ও সিটিং সার্ভিসের বাস চললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরই বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামেন মালিকরা। তাদের আকস্মিক ধর্মঘটের মুখে সরকার বাস ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
সরকারের সঙ্গে মালিকপক্ষের সমঝোতা অনুযায়ী, দূরপাল্লার বাস ভাড়া ২৭ শতাংশ এবং মহানগরে ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হয়েছে শুধু ডিজেলচালিত বাসের ক্ষেত্রে। সিএনজিচালিত পরিবহনের ভাড়া আছে আগের মতোই।
তবে সিএনজিচালিত বাসেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রথম দিনেই।
সিএনজিচালিত বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে রাজধানীসহ সারা দেশে চলা বাসের কত শতাংশ ডিজেল ও সিএনজিচালিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বিআরটিএ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ঢাকায় বর্তমানে যত বাস চলাচল করে তার ৯৫ শতাংশই জ্বালানি হিসেবে সিএনজি ব্যবহার করে। ডিজেলে চলে মাত্র পাঁচ শতাংশ বাস। সারা দেশেও শতাংশের এ হারটি প্রায় একই।
এ তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিউজবাংলার অনুসন্ধানে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, বিআরটিএ থেকে শুরু করে পরিবহন খাত নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন পক্ষ, এমনকি মালিক সমিতি কারও কাছেই এ সংক্রান্ত কোনো পরিসংখ্যান নেই।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সিএনজিচালিত বাস আসলে কত?
রাজধানীর যেসব পেট্রল পাম্প বা সিএনজি স্টেশন থেকে বাসের জ্বালানি সরবরাহ করা হয়, সেখান থেকেও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এসব পেট্রল পাম্প বা সিএনজি স্টেশন সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ঢাকায় অর্ধেকের বেশি বাস এখন ডিজেলচালিত। কোনো কোনো বাসে ব্যবহার করা হচ্ছে দুই ধরনের জ্বালানি।
নিউজবাংলায় প্রতিবেদন প্রকাশের পরের দিন সিএনজিচালিত বাসের সুনির্দিষ্ট একটি সংখ্যা জানাল মালিক সমিতি।