খুলনার পাইকগাছায় অপহৃত এক কলেজছাত্রকে হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ফয়সাল সরকারের দেয়া তথ্যে উপজেলার আগড়ঘাটা বাজারের অন্যপ্রান্ত শাহজাতপুরের দিকের কপোতাক্ষ নদ থেকে বুধবার সকাল ৯টার দিকে কলেজছাত্র আমিনুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফয়সাল মঙ্গলবার হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ওই আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান। পরে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
নিউজবাংলাকে মরদেহ উদ্ধারের বিষটি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) তাকবীর হুসাইন।
নিহত আমিনুর উপজেলার কপিলমুনির শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে। তিনি কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণীতে পড়তেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে তাকবীর হুসাইন জানান, ৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমিনুরকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় ফয়সাল। তারা আগড়ঘাটা বাজারের পাশে কপোতাক্ষ নদের তীরে দেখা করে। প্রথমে ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত জুস খাওয়ানো হয় আমিনুলকে। পরে তারা একসঙ্গে সিগারেট খান। আমিনুরের জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হলে দা দিয়ে গলা ও ঘাড়ে কুপিয়ে জখম করে নদীতে ফেলে দেয় ফয়সাল।
আমিনুরের ব্যবহার করা ফোন দিয়ে রাত ১০টার দিকে তার বাবার কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী।
এ সময় মুক্তিপণের টাকা পাইকগাছা ব্রিজের নিচে রাখতে বলা হয়। কথামতো কিছু টাকা আমিনুরের বাবা ব্রিজের নিচে রেখে লোকজন নিয়ে বিষয়টি অনুসরণ করেন। টাকা নিয়ে ফেরার পথে ফয়সালকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। তার দেয়া তথ্যে কপোতাক্ষ পাড়ে গিয়ে রক্তের দাগ পাওয়া গেলেও সেদিন মরদেহ পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশ।
মুক্তিপণের দাবিতে কলেজছাত্র আমিনুরকে হত্যার অভিযোগে মঙ্গলবার নিহতের বাবা মামলা করেন।
বুধবার ব্যাপক তল্লাশির পর কপোতাক্ষ নদ থেকে আমিনুরের মরদেহ পাওয়া যায়।