যশোরের মনিরামপুরে এক নারীকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয় লোকজন আতাউর রহমান নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনায় আটক আতাউরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে মনিরামপুর থানায় মামলা করেন।
আতাউর রহমান শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী পদে চাকরি করতেন।
ওই নারী জানান, তিনি অভয়নগর উপজেলার একটি পাটকল কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। সম্প্রতি কারখানায় কাজ করতে গিয়ে তার আঙ্গুলের নখ উঠে যায়। ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে যান তিনি। বাড়ি ফেরার পথে ওই বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে তাকে ডাক দেন আতাউর।
তিনি আরও বলেন, ডাকে সাড়া না দিলে আতাউর তাকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আতাউরকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে উত্তেজিত জনতা আতাউরকে মারপিট করে আটকে রাখে। পরে লোকজন তাকে পুলিশে দেয়।
আগেও স্থানীয়দের হাতে নারীসহ আতাউর বিদ্যালয়ের কক্ষে ধরা পড়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, রাতেই পুলিশ পাঠিয়ে আতাউরসহ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে নারীর বয়ান অনুযায়ী ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুবিনা ইয়াসমিন জানান, এ ঘটনায় নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগেও তাকে একই অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেহেলী ফেরদৌস বলেন, ‘আতাউর রহমানের নিয়োগ চুক্তিভিত্তিক। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার নিয়োগ বাতিলের কাগজপত্র অফিসে পাঠানো হয়েছে।’