নীলফামারীর সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই কলেজের অধ্যক্ষ এবং অফিস সহায়ক।
সোনারায় সংগলশী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং একই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহায়ক পরেশ চন্দ্র অধিকারী লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীকে। তবে তারা দুজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।
এই ইউনিয়নে ভোট হবে ১১ নভেম্বর। জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই প্রার্থীই।
স্বতন্ত্র প্রার্থী পরেশ চন্দ্র অধিকারী জানান, ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যুবলীগ আঞ্চলিক কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৯৫ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করছেন। তবে অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ তাকে সাসপেনসনে রেখেছেন। গত এক বছর থেকে তার বিলও বন্ধ করে দিয়েছেন।
সেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নির্বাচনি মাঠে ভালো সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে পরেশ বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আমি।’
নৌকার প্রার্থী ও কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন কমিটির এক নম্বর সদস্য।
তিনি বলেন, ‘পরেশ চন্দ্রকে সাসপেনশনে রাখা হয়েছে। সে প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করে না। অফিস করে না। নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সে বিদ্রোহী প্রার্থী।’
তিনিও ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘এলাকার মানুষ বিপুল ভোটে আমাকে নির্বাচিত করবেন।’
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাব উজ্জামান জানান, সোনারায় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ছয়জন। এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ৫৮৭ জন।