পাবনার সুজানগরে ভায়না ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সবুজ হোসেন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, সবুজ ওই ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের সমর্থক ছিলেন।
২৮ বছর বয়সী সবুজ সুজানগর উপজেলার চলনা গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে।
সোমবার রাতে ভায়না ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমিন উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে সবুজ আহত হন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু খবর এলাকায় পৌঁছালে সুজানগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন ওমর ফারুকের সমর্থকরা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক জানান, সুজানগরের বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী দাপট দেখিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তারাই ইন্ধন দিয়ে সবুজকে হত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, কয়েকজন প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতার নাম ব্যবহার করে ওই গোষ্ঠী প্রশাসনের ওপর খবরদারী করছে।
সুজানগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল আলম বলেন, ‘আহত একজনের মৃত্যুর বিষয় শুনেছি, তবে অফিসিয়ালি আমি নিশ্চিত নই।’তিনি জানান, হত্যার প্রতিবাদে সুজানগর থানা ঘেরাও করে রাতেই বিক্ষোভ শুরু করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুকের সমর্থকেরা।