বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রচারে হুমকি সহিংসতা, ইউপিতে ভোট নিয়ে শঙ্কা

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২১ ২১:৩০

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি প্রচারের বাধা দেয়া ও সহিংস আচরণের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে তাদের শঙ্কায় হাওয়া দিয়েছেন নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকে ভোট দিতে না দেয়ার হুমকি দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার বক্তব্য।

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট ১১ নভেম্বর। প্রথম ধাপের নির্বাচনে সহিংসতার পর দেশের ৮৪৮টি ইউপিতে এক দিন পরই হতে যাওয়া ভোট নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা উৎকণ্ঠা।

প্রচারের সময়ই বিভিন্ন ইউপিতে সহিংসতা উত্তাপ ছড়িয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচনি সহিংসতায় নরসিংদীতে চারজন, মাগুরায় চারজন ও মেহেরপুরে দুজন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন ইউপিতে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েক শ।

এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি প্রচারের বাধা দেয়া ও সহিংস আচরণের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে তাদের শঙ্কায় হাওয়া দিয়েছেন নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকে ভোট দিতে না দেয়ার হুমকি দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার বক্তব্য।

দলীয় সিদ্ধান্তে এবার ইউপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কয়েকটি ইউপিতে বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দলের প্রতীকে ভোট করছেন না কেউ।

সেদিক থেকে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জন্য মাঠ অনেকটাই ফাঁকা। তবে বিএনপি সরে দাঁড়ালেও নৌকার প্রার্থীদের মাথাব্যথা হয়ে উঠেছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। অধিকাংশ ইউপিতেই নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থী। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মধ্যেই অনেক ইউপিতে সহিংসতা হয়েছে।

নিউজবাংলার মাগুরা, সাতক্ষীরা, পাবনা, রাজবাড়ী ও শেরপুর জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

মাগুরায় চার খুনের সেই ইউপিতে অনেকেই ঘরছাড়া

মাগুরার জগদল ইউনিয়নে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন চারজন। সেই ঘটনার পর পাল্টাপাল্টি মামলায় ওই এলাকার অনেকেই ঘরছাড়া।

তবে ভোটের আগে ফিরে আসা কয়েকজন জানিয়েছেন, ওই ইউপি অনেকটাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। ভোট দিতে তারা ফিরে এসেছেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভোটের দিন ওই এলাকায় র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

জগদল ইউনিয়ন ছাড়া মাগুরা সদর উপজেলার আরও ১২ ইউপিতে ভোট হবে একই দিন। শেষ মুহূর্তে প্রচারে ব্যস্ত এসব ইউপির চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার উপজেলার আঠারখাদা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার সব জায়গায় প্রার্থীদের ব্যানার ঝুলছে। বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে চলছে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ।

তবে এসব ইউপিতে প্রার্থীরা ভোট নিয়ে জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গোপালগ্রাম, কুচিয়ামোড়া, মঘিসহ প্রায় সব ইউনিয়নে সরকারদলীয় প্রার্থীরা জানিয়েছেন নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক আছে। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাবি, প্রচারে নানা বাধার মুখে পড়ছেন তারা।

এদিকে বর্তমান সদস্যরাও প্রার্থী হয়ে প্রচারে ব্যস্ত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন।

কামারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থানীয় রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘সকাল থেকে পরিষদে বসে আছি। একটা জন্মনিবন্ধন করা লাগে, কিন্তু কেউ আসছে না ভোটের জন্য। ভোট শেষে আসতে কয়।’

মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল ইসলাম জানান, ভোট সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, গ্রামপুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির টহল থাকবে। আশা করছেন ভোট সুষ্ঠু হবে।

সাতক্ষীরায় ১৩ ইউপির ১২টিতে আ.লীগের বিদ্রোহী

সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীতে অস্বস্তিতে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। দল থেকে বহিষ্কার করেও সরানো যায়নি বিদ্রোহী প্রার্থীদের। উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ১২টিতেই বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীগের।

এ ছাড়া আট ইউনিয়নে বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে তিনজন এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকে তিনজন চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।

অন্য দলের প্রার্থীর পাশাপাশি নিজের দলের ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ায় জয় নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। জয়ের পথে বিদ্রোহী প্রার্থীরাই তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জেতাতে উপজেলা ও জেলা আওয়ামী জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

গোয়ালন্দে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরদ্বিতীয় ধাপে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ভোট হচ্ছে দুই ইউনিয়নে। উপজেলার ছোটভাকলা ও উজানচর ইউপি দুটিতেই ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

ছোটভাকলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ফের নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী।

মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি বক্তব্যে বলেন, যেকোনো মূল্যে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

তার কর্মীরা স্বাভাবিকভাবে ভোট চাইতেও পারছেন না বলে অভিযোগ করেন মোহাম্মদ আলী।

উজানচর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন ফকির বলেন, ‘আমি এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। তারপরও আমাকে ভোটাদের কাছে যেতে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। আমার কর্মীরা ভোট চাইতে গেলে সেখানে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, সেখানে আর তারা ভোট চাইতে পারে না। এটা কেমন নির্বাচন হচ্ছে?’

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলশাদ বেগম জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন কোনো কাজ কাউকেই করতে দেয়া হবে না।শেরপুর সদরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

শেরপুর সদরের ১৪টি ইউপিতে প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই সরকারি দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জোর করে ভোট নেয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর সরকারি দলের প্রার্থীরা বলছেন, উন্নয়নের স্বার্থেই জনগণ তাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

মুড়ি প্রতীকের এক প্রার্থীর প্রচার মিছিল

অভিযোগ ছাড়াও এই উপজেলায় এবার নৌকার প্রার্থীদের মাথাব্যথার বড় কারণ দলের বিদ্রোহী। তিন ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে ১১টিতে। এর মধ্যে ৯টিতেই আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বাকি দুটিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোটারদের অনেকেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। চরশেরপুরের আলীমদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে নিরপেক্ষ ভোট হবে না বলে হুনতাছি।’

বেতমারীর আফাজ মিয়া বলেন, ‘হুনতাছি আমাগোরে বলে ভোট দিবারি দিব না। তাইলে ইলেকশন দিয়ে নাব কী?’

চরমুচারিয়া ইউনিয়নের সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ ভোট চাই। আমরা যেন আমাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারি।’

তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, ভোট নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট নেয়া হবে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবেন।

পাবনায় চাচা-ভাতিজার লড়াই

পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ও আহমদপুর ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন চাচা-ভাতিজা। দুই ইউপিতে চাচা-ভাতিজার লড়াই বেশ জমে উঠেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুললেও ভোটের মাঠে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

দুলাই ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাজাহান। এবারও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। আর তার বিরুদ্ধে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ভাতিজা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ।

সাইদুর বলেন, ‘চেয়ারম্যান থাকার সময় আমার চাচা দুর্নীতিতে জড়িয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। প্রশাসনের তদন্তে এসব দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ায় আমরা পারিবারিকভাবেই লজ্জায় পড়েছি।

‘দুলাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় আমার মরহুম পিতা আজীবন কাজ করেছেন। পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের দাবিতে প্রার্থী হতে বাধ্য হয়েছি।’

চাচার বিরুদ্ধে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে ভোটার ও কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও করেন সাইদুর।

নৌকার প্রার্থী সিরাজুলের অভিযোগ, মনোনয়ন না পেয়ে ভাতিজা সাইদুর দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনের আগে থেকেই সাইদুল ষড়যন্ত্র করে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন।

আহমদপুর ইউনিয়নেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ভাতিজা হিরা মিয়া। এ ইউপিতে এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।

ভাতিজা হিরা মিয়া চাচার বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনেছেন। আর চাচা ও নৌকার প্রার্থী কামাল আহমেদ তার বিরুদ্ধে এনেছেন সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো অভিযোগ।

সুজানগর উপজেলায় এবার ভোট হচ্ছে ১০ ইউপিতে। তবে দুই প্রার্থী বহিরাগত সন্ত্রাসী আনার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে প্রায় সব ইউনিয়নেই। এসব সহিংসতায় নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর, গোলাগুলি ও পাল্টাপাল্টি হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

শেষ মুহূর্তে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সাগরকান্দি, মানিকহাট, সাতবাড়িয়া, হাটখালি ও ভায়না ইউনিয়নে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘প্রতিটি সংঘর্ষের ঘটনাতেই পক্ষগুলো পরস্পরকে দোষারোপ করছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

‘বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিষয়েও অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।’

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন মাগুরা প্রতিনিধি ফয়সাল পারভেজ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম শাওন, পাবনা প্রতিনিধি ইমরোজ খন্দকার বাপ্পি, রাজবাড়ী প্রতিনিধি রবিউল আওয়াল ও শেরপুর প্রতিনিধি শাহরিয়ার শাকির।

এ বিভাগের আরো খবর