ঢাকার ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ভোটকেন্দ্রে ৫০০ লোক রাখার ঘোষণা দিয়েছেন সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গণি।
ফেসবুকে মেয়রের এমন বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অন্য প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশন বলছে, এমনটা তিনি (মেয়র) করতে পারেন না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।সোমবার সন্ধ্যায় কুল্লা ইউনিয়নের মামুরা গ্রামে নৌকার প্রার্থীর প্রচারণায় এমন বক্তব্য দেন মেয়র। এ সময় তিনি সাভার পৌর সভার ১ নম্বর কাউন্সিলর রমজান আলীকে এই নির্দেশ দেন।
ভিডিওতে মেয়র বলেন, ‘অনেকে আওয়ামী লীগ করে। আবার অনেকে আওয়ামী লীগ করে দলের সঙ্গে বেইমানি করে। এসব বেইমানের স্থান কোথায় হবে তা বুঝতে পারবেন নির্বাচনের পরে। যারা এতদিন, এই ১৫ বছর সুযোগ নিয়েছে আর এখন বেইমানি করছে, তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।
‘আমি কুল্লায় ঘুরছি, দেখছি কে কী করছে। আমি আমার পৌরসভা থেকে এই এলাকায় কিছু লোক সেটিং করছি। যাদের প্রতি সন্দেহ আছে, তাদের এক্টিভিটি দেখছি। এগুলা খুঁজে দেখব। ব্যবস্থা নেব।’
মেয়র আরও বলেন, ‘ভোটের দিন সবাই কেন্দ্রে আসবেন। ভোট দেবেন। পৌরসভা থেকে রমজানের (সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর) নেতৃত্বে, ওকে আমি দায়িত্ব দিয়েছি। ও (রমজান) ৫০০ লোক নিয়ে থাকবে। আপনারা ভোট দেবেন।’
সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সিলর রমজান আলীকে উঠে দাঁড়িয়ে মেয়রের কথায় সমর্থন দিতে দেখা গেছে।মেয়রের এমন বক্তব্যে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কুল্লা ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফর রহমান৷
তিনি বলেন, ‘এটি একটি উসকানিমূলক বক্তব্য। মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। পুলিশ ও প্রশাসন আছে তারাই দেখবে বিষয়টি। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক৷
‘একটা কেন্দ্রে যদি ৫০০ লোক বাইরে থেকে আসে, তাহলে সেই কেন্দ্রে অবস্থা কী হবে, চিন্তা করা যায়? মানুষ তো ভোটই দিতে যাবে না তাহলে৷ আমি বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত। আমি নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশে কাছে অভিযোগ দেব।’
এ বিষয়ে জানতে সাভার পৌর মেয়র আব্দুল গণিকে ফোন দিলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি তো একটা মিটিংয়ে আছি।’
কাউন্সিলর রমজান আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ঢাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হুসাইন খান বলেন, 'এটা তিনি (মেয়র) করতে পারেন না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।'