বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোটে জিততে জামায়াতকে পাশে চান নৌকার প্রার্থী টুকুপুত্র

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৯

আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা জামায়াতকে ঘৃণা করি। সামাজিকভাবে মেলামেশা নিষিদ্ধ না হলেও, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জামায়াতের রাজনৈতিক সমর্থন নেয়ার সুযোগ নেই। আসিফ শামস কেন জামায়াত আমিরের কাছে গিয়েছিলেন তা আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে, দল বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’

পাবনার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর ছেলে ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জন জামায়াতের সমর্থন চেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে নৌকার প্রার্থীর দাবি, তিনি জামাতের আমিরের কাছে ভোট চেয়েছেন। সমর্থন চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল বাসেদ বলছেন, টুকুপুত্র তার সঙ্গে দেখা করেছেন। জামায়াতের ভোট তার পক্ষে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।

পৌর এলাকায় উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল বাসেদের সঙ্গে সোমবার সকালে দেখা করেন নৌকার প্রার্থী। তাদের সাক্ষাতের ছবি ফেসবুকে ছড়ালে দলের নেতা-কর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

রফিকুল ইসলাম নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বেড়ায় আওয়ামী লীগের কি এতটাই দৈন্য যে জামায়াতের কাছে সমর্থন চাইতে হলো? মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী, জাময়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর স্বজন ও শীষ্যদের কাছে ভোট চেয়ে তিনি আওয়ামী লীগের অবমূল্যায়ন করেছেন।’

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জামায়াতের সমর্থন চাওয়া লজ্জার ও নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল।

তিনি বলেন, ‘বেড়া যুদ্ধাপরাধী নিজামীর জন্মস্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধের বিচার করে পাবনাবাসীকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত জনগণের কাছে ঘৃণিত দল। শেখ হাসিনা দেশের যে উন্নয়ন করেছেন, তাতে জনসমর্থন নৌকার পক্ষে। নৌকার বিজয়ে জামায়াত-বিএনপির সমর্থন-সহযোগিতা আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই।’ আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা জামায়াতকে ঘৃণা করি। সামাজিকভাবে মেলামেশা নিষিদ্ধ না হলেও, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জামায়াতের রাজনৈতিক সমর্থন নেয়ার সুযোগ নেই। আসিফ শামস কেন জামায়াত আমিরের কাছে গিয়েছিলেন তা আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে দল বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’

বেড়া পৌরসভায় ভোট ২৮ নভেম্বর। এখানে মেয়র পদে লড়ছেন ছয়জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে টুকুপত্র ছাড়াও রয়েছেন সংসদ সদস্যের ভাই বর্তমান মেয়র আব্দুল বাতেন, ভাতিজি এসএম সাদিয়া আলম। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের সদস্য এ এইচ এম ফজলুর রহমান মাসুদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য আব্দুল আওয়াল এবং স্থানীয় কে এম আব্দুল্লাহ।

টুকুপুত্রের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা আব্দুল বাসেদ বলেন, ‘সকালে আসিফ শামস রঞ্জন আমার অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জামায়াত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, সে কারণে তিনি আমার কাছে ভোট চান।

‘এই পৌরসভায় জামায়াতের প্রায় ১০ হাজার ভোট রয়েছে। আমাদের দলীয় প্রার্থী না থাকায় রঞ্জন জামায়াতের ভোট তার পক্ষে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। কেবল রঞ্জনই নন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুর রহমান মাসুদও সমর্থন চাইতে আমার সঙ্গে দেখা করেছেন।’

জামায়াতের সমর্থন চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আসিফ শামস রঞ্জন বলেন, ‘প্রাতভ্রমণে বের হয়ে জনসংযোগের সময় জামায়াত আমির আব্দুল বাসেদের সঙ্গে দেখা হয়। প্রার্থী হিসেবে তাদের এলাকার মানুষের ভোট ও দোয়া চেয়েছি। জামায়াতের ভোটব্যাংকের সমর্থন চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রকাশ্যে মিটিংয়ে বলেছি, যেহেতু জামায়াতের প্রার্থী নেই, তাদের ভোট কেন্দ্রে আসারও কোনো প্রয়োজন নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর