ফরিদপুরে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে রাতের বেলা তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই ছাত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালি থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জামাল পাশা।
তিনি জানান, গত রোববার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার চর টেপুরাকান্দি এলাকার সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘরের বাইরে বের হয়। এ সময় ওই স্থানে আগে থেকে সদর উপজেলার আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা আকাশ শেখ ও তার তিন-চার সহযোগী ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে।
পরে অটোরিকশায় করে পাশের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরউদ্দিন মুন্সী ডাঙ্গী গ্রামে রসুন ক্ষেতের শ্যালোমেশিন ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এএসপি জামাল আরও জানান, ধর্ষণের পর আকাশ ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে ওই স্কুলছাত্রীকে তার মা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান হয়, সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আকাশকে টেপাখোলা বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার সঙ্গে রনি শেখ, শিপন শেখ, সোহাগ ও অজ্ঞাতপরিচয় অটোচালক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
আকাশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার মাঝরাতে সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রনি শেখ ও শিপন শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে এএসপি জামাল পাশা।