জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আকবর হোসাইন খান রাব্বিকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে এই রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকরা।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দুপুর ১২ টায় মানববন্ধনে এই অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে কর্মসূচি দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন সহপাঠীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল, ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন, বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, সহকারী প্রক্টর ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৭ আগস্ট সকালে ঢাকার সূত্রাপুরের একটি মেস থেকে ব্যাগে ল্যাপটপ-ফোন নিয়ে বের হয়ে যান আকবর। রাত ৮.৫৩ টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আকবরের বন্ধু ফয়সালকে ফোন করে জানান, একটি ছেলে চট্টগ্রাম জিইসি মোড় ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে গেছে।
পরে পুলিশ এসে তাকে অজ্ঞান ও মাথার পেছনে রক্তের দাগ থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং ১ সেপ্টেম্বর ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
শিক্ষার্থীদের ধারণা, আকবরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা প্রশ্ন রাখেন, কে বা কারা, গত ২৭ আগস্ট রাতে আকবরকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে গেছে, সেটি দুই মাসেও কেন জানতে পারেনি।
তারা জানান, আকবরের মোবাইল ফোনটি ঘটনার এক দুইদিনের মধ্যেই থানা থেকে লক খুলতে গিয়ে হার্ড রিসেট দেয়া হয়, ফলে তার ফোন থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আকবর যে বিভাগে পড়তেন, সেই ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘অতি দ্রুত তার মৃত্যুর রহস্য যাতে উদঘাটন হয় এবং দোষীরা যাতে শাস্তি পায় সেই দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে তার সহপাঠীদের অনুরোধ করব, তারা যেন আকবরের পরিবারের খোঁজখবর রাখে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘খুলশী থানার ওসি জানিয়েছেন, এটা পিবিআই তদন্ত করেছে। আবার পিবিআই থেকে এখন সিআইডি এর কাছে তদন্তভার দেয়া হয়েছে। তবে আকবরের পরিবার থেকে আবেদন করা হয়েছে যেন পিবিআই তদন্ত করে। আমরা আশা করি, আকবরের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং আমরা বিচার পাব।’