জ্বালানি তেলের দাম ও বাস ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে প্রগতিশীল আটটি ছাত্র সংগঠন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে তাদের এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
এতে অংশ নেয়া সংগঠনগুলো হলো, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদ), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর বলেন, ‘বিশ্ববাজারের কথা বলে সরকার এখানে দাম বৃদ্ধি করছে। কিন্তু বিশ্বে যখন দাম কমে তখন তো এখানে দাম কমে না।’
তিনি বলেন, ‘এই জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। এই দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমাদের রাজপথে বিক্ষোভ দরকার। এটি ছাড়া কোনো সমস্যারই সমাধান হবে না।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ‘গত সাত বছরে সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। আর এখন বলা হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। কিসের লোকসান? সরকার কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয়।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ডিজেল, কেরোসিনের দাম কমানো নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করতে হবে।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘দেশে আজ তেলের রাজনীতি চলছে। এ তেল দিয়ে সাধারণ জনগণ ছাড়া সবাই লাভবান হচ্ছে। এ তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব দেশের সবকিছুর ওপর পড়ছে। এটি কোনো সাধারণ বিষয় নয়, ভাড়া বৃদ্ধির চক্রান্ত সারা দেশের মানুষকে ভুক্তভোগী করছে।
‘এ জ্বালানি তেল এবং বাস ভাড়া বৃদ্ধি চক্রান্তের বিরুদ্ধে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা সবাইকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসবে আমাদের আন্দোলন চলবে।’
ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিক রায়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভাশীষ চাকমা, ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি (গণসংহতি) মিতু সরকারও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।