চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে ছাত্রদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
নগরীর বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপু এলাকার মূল ক্যাম্পাসে সোমবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
সংঘর্ষে আহত ১০ জন হলেন ফজলে রাব্বি, রাশেদুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দিন, মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, আশরাফ সৌরভ, আশরাফুল ইসলাম আশিক, রাজিব হোসেন, অভিজিৎ দত্ত, পারভেজ হোসাইন, মাইদুল হাসান ও বাপ্পারাজ তালুকদার।
তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘রাতে হোস্টেলে নোয়াখালী ও কুমিল্লা এলাকার ছাত্রদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ বাধে। তবে ঠিক কী নিয়ে সংঘর্ষ তা জানা যায়নি। যতটুকু জেনেছি সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাতেই ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ঘটনার বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের উপপরিদর্শক এসআই নুরুল আলম আশেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে ১০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে ফয়েজ উদ্দিন ও মাইদুল হাসানের অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঝামেলার মূলে রয়েছেন কলেজের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাকিব হোসাইন। কেউ তার কথার অবাধ্য হলেই পোহাতে হয় ঝামেলা।’
শিক্ষার্থীদের দাবি, তিনি টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হলেও নিজেকে পরিচয় দেন হোস্টেল সুপার হিসেবে। হোস্টেলের নিয়ন্ত্রণও তার হাতে।
এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাকিবের সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাকিব মূলত টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। তবে তাকে সহকারী হোস্টেল সুপার হিসেবেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে পরোক্ষভাবে কিছু বিষয় শুনেছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’