বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জিয়া হলের ৫টি রুমে তালা ঝোলাল কে

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৫৩

২২২ নম্বর রুমে আটকে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থী সোহান বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে আমি রুমে বসে পড়াশোনা করছিলাম। এ সময় বাইরে থেকে কেউ একজন দরজা নাড়ছিল। তখন পড়ার টেবিল থেকে দরজার কাছ পর্যন্ত যেতে না যেতেই দেখি রুমের বাইরে থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। কারা তালা দিয়েছে, এটা আমি দেখতে পাইনি।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হলের পাঁচটি রুমে শিক্ষার্থীদের ভেতরে রেখেই দরজায় তালা ঝোলানো হয়েছে; যা হল কর্তৃপক্ষ জানে না।

হল কর্তৃপক্ষ বলছে, হলের বাইরের কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি জানার পর তালা ভেঙে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

হল কর্মকর্তারা বলছেন, ওই কক্ষগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীরা ঘটনাটি ফোনে জানালে সেখানে গিয়ে রুমগুলোর তালা ভেঙে আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের বের করা হয়।

তালা দেয়া ৫টি কক্ষ হলো হলের দ্বিতীয় ব্লকের দ্বিতীয় তলার ২১৯, ২২০, ২২১, ২২২ ও ২২৩ নম্বর কক্ষ। এর মধ্যে ২২১, ২২২ ও ২২৩ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা রুমের ভেতরে আটকে ছিলেন।

এ ঘটনায় হলের মূল গেটে বেলা ৩টার দিকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসনের আশ্বাসে বিকেল ৫টার দিকে তালা খুলে দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, একটা হলের পাঁচটা রুমে শিক্ষার্থীদের ওই রুমের ভেতরে আটকে রেখে দরজায় তালা দিয়েছে হলের বাইরের লোক। কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি জানতে পারল না। এখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা থাকল কোথায়? এ দায় অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না।

হল গেটে তালা দেয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামিম হোসেন বলেন, ‘হলের পাঁচটি কক্ষে অপরিচিত কেউ তালা দিয়েছে বলে হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তারা কেন বিষয়টি জানল না? তারা অপরাধীদের কেন শনাক্ত করতে পারছে না? এ কারণেই আমরা হলের মূল গেটে তালা দিয়েছি।’

২২২ নম্বর রুমে আটকে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থী সোহান বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে আমি রুমে বসে পড়াশোনা করছিলাম। এ সময় বাইরে থেকে কেউ একজন দরজা নাড়ছিল। তখন পড়ার টেবিল থেকে দরজার কাছ পর্যন্ত যেতে না যেতেই দেখি রুমের বাইরে থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। কারা তালা দিয়েছে, এটা আমি দেখতে পাইনি।’

২২১ নম্বর কক্ষের আল আমিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রুম থেকে ভাত খেতে গিয়েছিলাম। ১২টার দিকে রুমের সামনে এসে দেখি আমার রুমের দরজায় তালা ঝুলছে।

‘এরপর দেখি পাশের রুমের ভেতরে থেকে চেঁচামেচি করছে। বিষয়টি আমি হল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা এসে তালা ভেঙে দেয়।’

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ সুজন সেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শোনার পরই হলে গিয়ে দ্বিতীয় ব্লকের পাঁচটা রুমে তালা ঝুলতে দেখি। তাৎক্ষণিক হল কর্মকর্তাদের দিয়ে সব তালা ভেঙে দেয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কে এ কাজ করেছে, তা এখনও শনাক্ত হয়নি। তবে হলের বাইরের কেউ করেছে বলে ধারণা করছি।’বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টির তদন্ত চলছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর