চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের বিশেষ পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন সাত কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে অবরোধে বসেন তারা। দুই ঘণ্টার বেশি অবরোধে রাস্তার দুই পাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সোয়া ৩টায় সেখানে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিমুল্লাহর প্রতিনিধি হয়ে উপস্থিত হন ঢাকা কলেজের অধ্যাপক আলতাফ উদ্দীন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য আমি এখানে অধ্যক্ষ স্যারের প্রতিনিধি হয়ে এসেছি। তোমরা আমাদের এক দিন সময় দাও। আশা করছি, অধ্যক্ষ স্যার সাত কলেজের সব প্রধানকে নিয়ে আগামীকাল সভা করে ভালো একটি সিদ্ধান্ত তোমাদের জানাবেন। কালকে যদি আমরা সিদ্ধান্ত না নিতে পারি, এরপর তোমরা যে কর্মসূচিই দাও সেটির প্রতি আমার সম্মতি থাকবে।
‘আমরা অনুধাবন করেছি তোমাদের দাবি যৌক্তিক। তোমাদের সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি। তবে আমাদের অনুরোধের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তোমরা আজকের অবরোধ প্রত্যাহার করো।’
এমন আশ্বাস পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘আমরা আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করছি। কাল বিকেল চারটার মধ্যে আমাদের পরীক্ষার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঘোষণা না করা হলে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আমরা ফের নীলক্ষেত অবরোধ করব।’
অবরোধ ডাকা শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা সাত বছর পরও অনার্স শেষ করতে পারেননি। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে তাদের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়। প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে ফেল করানো হয়েছে। ফেল করানো এসব বিষয়ে তারা বিশেষ পরীক্ষা চান। আর এ পরীক্ষা ডিসেম্বরের মধ্যেই নিতে হবে।
বিশেষ পরীক্ষায় কেউ ফেল করলে তখন কী হবে, জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মামুন তুষার বলেন, ‘কেউ যদি সে পরীক্ষায় ফেল করে, তখন সেটি যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। এতে সবার কোনো সম্মিলিত দাবি থাকবে না। আমরা চাই দ্রুত বিশেষ পরীক্ষা নেয়া হোক। দ্রুত অনার্স শেষ করতে চাই।’