তিন দিন পরিবহন ধর্মঘট শেষে যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। এতে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
প্রতিটি যানবাহনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তবে এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের সারি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলছে ফেরি। এতে করে ভোগান্তিতে চালক ও সহযোগীরা।
যাত্রীবাহী বাসের সিরিয়াল দেখা গেছে দুই কিলোমিটার। যাত্রীবাহী বাসগুলোকে ফেরিতে উঠতে সময় লাগছে ৩-৪ ঘণ্টা। অন্যদিকে ট্রাকের সিয়িয়াল পেতে সময় লাগে ১২-২৪ ঘণ্টা।
বাগেরহাট থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকচালক গাফফার বলেন, ‘ভোর ৬টার দিকে ঘাটে এসেছি। এখন সকাল ১০টা বাজে। এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই। হয়তো ফেরিতে উঠতে আরও দুই ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হবে।’
ট্রাকের হেলপার আশিক বলেন, ‘আবার ভোগান্তি শুরু হয়েছে। আমাদের এই ঘাটে ভোগান্তির কোনো শেষ থাকে না। পদ্মা পাড়ি দিতেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফেরি কম থাকার কারণে এই যানজট।’
ঢাকাগামী যাত্রী সম্রাট বলেন, ‘ফরিদপুর থেকে এসে ঘাটে দুই ঘণ্টার বেশি হলো ফেরি পারের অপেক্ষায় বসে আছি। এখনো ফেরি পাইলাম না। কখন পৌঁছাব তাও বুঝতেছি না। আমাদের এই রুটে আরেকটা সেতু না হলে ভোগান্তি কমবে না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন জানান, এই রুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি ফেরির মধ্যে ১৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরিতে যাত্রীবাহী বাসের অগ্রাধিকার দিয়ে পার করা হচ্ছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে যেসব যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে তা দ্রুতই স্বাভাবিক হবে।