গাজীপুর জেলায় ছাড়পত্রহীন ২০৬টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
গত ৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের বাসিন্দা মেহেদী হাসান এ রিট করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কাওছার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
আইনজীবী কাওছার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিটকারী আমার মক্কেল মেহেদী হাসান তার স্ত্রীকে গাজীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান, কিন্তু ওই হাসপাতালে হাইজেনিক পরিবেশ ছিল না। এই পরিবেশ না থাকায় হাসপাতালের রোগীরা মেডিক্যাল বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
বিষয়টি দেখে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল গাজীপুর জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরে সব হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিবেশ ছাড়পত্রের তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্চ ও তথ্য প্রদান কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, জেলায় ২০৬টি প্রতিষ্ঠানেরই পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। মাত্র ২৪টি প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের ছাড়পত্র রয়েছে।
পরে এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়। আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার আদেশ দিয়েছে।