করোনাভাইরাস প্রতিরোধী মুখে খাওয়ার ওষুধ আনার অনুমোদন পেতে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এরপরও কেন শুধু একটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে, তা জানেন না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার সকালে এক অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি জানি না। জেনে বিস্তারিত জানাব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের টেকনিক্যাল সাইডটা ডিজি হেলথ দেখছে। আমিও পত্রিকায় দেখেছি। আপডেট এখনও জানি না।’
দেশে জরুরি প্রয়োজনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির ব্যবহার এবং উৎপাদনের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওষুধ প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন মঙ্গলবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধী খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। স্কয়ার, বেক্সিমকো, রেনেটা, ইনসেপ্টা, এসকেএফ, জেনারেল, বিকনসহ ৮ থেকে ১০টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। তবে শুধু বেক্সিমকোকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
‘অনুমোদন প্রক্রিয়ায় আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি দেশেই উৎপাদন করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটি এখন দেশে জরুরি ব্যবহার করা যাবে। ওষুধটি পাঁচ দিন আগে যুক্তরাজ্য সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এই ওষুধ সেবন করলে করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন কমবে; মৃত্যুও কমবে।’
কোভিড নাইনটিন অ্যান্টিভাইরাল পিলজাতীয় ওষুধটি যৌথভাবে উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্ক অ্যান্ড কোম্পানি ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস। জরুরি প্রয়োজনে এ ওষুধ ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে।
ওষুধটি মহামারি মোকাবিলায় চলমান লড়াই আরও জোরদারে ‘গেমচেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে অনুমোদন পাওয়ার পরপরই ওষুধটি বাজারে ছেড়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে ওষুধটি পাওয়া যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা।