বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ আত্মসাৎ: আদিয়ান মার্টের সিইওর জামিন নাকচ

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:৪৩

আসামি পক্ষের আইনজীবী বদর উদ্দিন বলেন, ‘জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। আশাকরি সেখান থেকে জামিন মিলবে।’

চুয়াডাঙ্গায় গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ মামলায় গ্রেপ্তার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) চারজনের জমিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত।

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক মানিক দাস মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে তোলা হয়েছিল।

চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কেএম জাহাঙ্গীর কবীর জানান, গত ২৯ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জুবায়ের সিদ্দিকী মানিক, তার বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক, ভাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ সিদ্দিক ওরফে রতন এবং ব্যবস্থাপক মিনারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পরদিন আসামিদের আদালতে তুলে সাত দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। বিচারক ২ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নির্ধারিত তারিখে ৩ আসামিকে তিনদিন করে রিমান্ডে পাঠায় আদালত। একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বিচারক।

আসামি পক্ষের আইনজীবী বদর উদ্দিন বলেন, ‘জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। আশাকরি সেখান থেকে জামিন মিলবে।’

সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের মৃত ওহিদুল ইসলামের ছেলে আতিকুর রহমান উজ্জ্বলের কাছ থেকে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৪৮০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে আদিয়ান মার্টের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানটির সিইওসহ চারজনের নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেন উজ্জ্বল। আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২-৩ জনকে।

ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর গ্রামে আদিয়ান মার্টের প্রধান কার্যালয় ঘিরে রাখা হয়। রাতে সিইও জুবায়েরকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জুবায়েরের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক, ভাই মাহমুদ সিদ্দিক ও মিনারুলকে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে আদিয়ান মার্টের বিরুদ্ধে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ২০০০ এনভয়েস অর্ডার বাকি আছে। ভোক্তা অধিকারে রয়েছে ৩২২ টি অভিযোগ।

এ বিভাগের আরো খবর