বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহার ১১ বছরের জেল

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:১৭

রায়ে বলা হয়, অর্থ পাচারের দায়ে সিনহাকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর জরিমানা করা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে অর্থ আত্মাসাতের দায়ে ৪ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, দুটি শাস্তি একসঙ্গে শুরু হওয়ায় সিনহাকে কারা ভোগ করতে হবে ৭ বছর। পাশাপাশি তার ব্যাংক হিসেবে গচ্ছিত ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩ মিনিটে আলোচিত মামলাটির রায় পড়া শুরু করেন। রায় ঘোষণা করেন দুপুর সোয়া ১টার দিকে।

১৮২ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়, অর্থ পাচারের দায়ে সিনহাকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে অর্থ আত্মাসাতের দায়ে ৪ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আদালত বলেছে, সাজা চলবে একসঙ্গে। ফলে সিনহাকে কারাগারে থাকতে হবে ৭ বছর।

দেশের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোনো প্রধান বিচারপতির ফৌজদারি মামলায় সাজা হলো।

রায়ে তিন বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে মামলাটির অন্যতম আসামি সাবেক ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে ৩ বছর কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ৩ মাস কারাগারে থাকতে হবে।

অর্থ পাচার ও আত্মসাতে সিনহাকে সহযোগিতা করার দায়ে সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে দেয়া হয়েছে ৪ বছর কারাদণ্ড। ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায় ৬ মাস বেশি কারাগারে থাকতে হবে তাদের।

আর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন ও সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারীকে ৩ বছর কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাগারে থাকতে হবে।

মামলায় খালাস দেয়া হয়েছে টাইঙ্গালের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও নিরাঞ্জন চন্দ্রকে।

রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম অনি নিউজবাংলাকে জানান উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তিনি।

গত ৫ অক্টোবর মামলাটির রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও সেদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় তা পিছিয়ে ২১ অক্টোবর দিন রাখা হয়। পরে ওই তারিখেও রায় হয়নি। ওই দিনও বলা হয়, বিচারক ছুটিতে এবং রায় প্রস্তুত হয়নি। নতুন তারিখ রাখা হয় ৯ নভেম্বর।

মামলাটির রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় গত ১৪ সেপ্টেম্বর। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় ২৪ আগস্ট। মামলার অভিযোগপত্রের অন্তর্ভুক্ত ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।

গত বছরের ১৩ আগস্ট একই আদালত ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

সাবেক ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন মামলাটি করেছিলেন। মামলা তদন্ত করে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ।

আসামিদের মধ্যে সাবেক ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) কারাগারে, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা জামিনে আছেন।

এ ছাড়া, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর