চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ৫০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে দেয়া ২ লাখ ডোজ টিকা গ্রহণের সময় এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ মাসে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ ভাগ এবং আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় আসবে। এখন পর্যন্ত ২৮ কোটি টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছি আমরা।’
টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো পক্ষপাত ছিল না জানিয়ে লোকমান হোসেন বলেন, ‘এ দেশের রিকশাওয়ালা-ভ্যানওয়ালারাও মর্ডানা-ফাইজারের টিকা পেয়েছেন। যারা আর্থিকভাবে সক্ষম অনেককেই দেখেছেন দুবাইয়ে গিয়ে একমাস থেকে ফাইজারের টিকা দিয়ে এসেছে। এখানে ২০-২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সরকার বিনা পয়সায় সকলকে টিকা দিয়েছে।
‘১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদেরও টিকা কর্মসূচি শুরু করেছি। পৃথিবীর অনেক দেশই এখনো টিকা পায়নি। আমাদের সব রাষ্ট্রদূতদের সাথে কথা বলেছি। একটা ভ্যাকসিন একজনের জীবন রক্ষা করবে এই নীতিতে আমরা কাজ করছি। ২৮ কোটি টিকা কনফার্ম। আমাদের যেটা দরকার পর্যায়ক্রমে আমরা দিয়ে দেব।’
টিকা গ্রহণের পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৬৭ লাখ প্রথম ডোজ এবং ৩ কোটি ১৬ লাখ দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে।’
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল সে সময়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ৮০ লাখ মানুষকে একসঙ্গে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। তবে এক দিনে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। দুই দিন মিলিয়ে ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৬ জনকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়।
তার আগে আগস্টে বড় পরিসরে গণটিকাদান শুরু করে সরকার। তখন থেকেই প্রতিদিনি কয়েক লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে।
গত মাসের আগে পর্যন্ত শুধু ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের এই টিকা দেয়া হয়েছে। এখন ১৮ বছরের কম বয়ষীদেরও টিকা দিতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে শিগগিরই টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।