দেশে জরুরি প্রয়োজনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভি ব্যবহার এবং উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। জানানো হয়, ওষুধ প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন মঙ্গলবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধী খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। স্কয়ার, বেক্সিমকো, রেনেটা, ইনসেপ্টা, এসকেএফ, জেনারেল, বিকনসহ ৮ থেকে ১০টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। তবে শুধু বেক্সিমকোকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
‘অনুমোদন প্রক্রিয়ায় আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি দেশেই উৎপাদন করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটি এখন দেশে জরুরি ব্যবহার করা যাবে। ওষুধটি পাঁচ দিন আগে যুক্তরাজ্য সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এই ওষুধ সেবন করলে করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন কমবে, মৃত্যুও কমবে।’
কোভিড নাইনটিন অ্যান্টিভাইরাল পিলজাতীয় ওষুধটি যৌথভাবে উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্ক অ্যান্ড কোম্পানি ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস। জরুরি প্রয়োজনে এই ওষুধ ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে।
ওষুধটি মহামারি মোকাবিলায় চলমান লড়াই আরও জোরদারে ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ করোনার চিকিৎসায় ‘মলনুপিরাভির’ ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিল।
মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ আছে এবং অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো গুরুতর অসুস্থ হওয়ার যেকোনো একটি কারণ উপস্থিত- এমন রোগীরা ওষুধটি সেবন করতে পারবেন।
প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলের ওপর ভিত্তি করে বলা হয়, করোনার উপসর্গ দেখা দেয়া এবং পজিটিভ শনাক্তের পাঁচ দিনের মধ্যে ওষুধটি খাওয়া শুরু করতে হবে।
করোনাভাইরাস দেহে প্রবেশের পর রোগ সৃষ্টিকারী জেনেটিক কোড চিহ্নিত করবে মলনুপিরাভির। দিনে দুইবার করে টানা পাঁচ দিন খেতে হবে ওষুধটি।