বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাভারে ইভ্যালির ৪ ওয়্যারহাউস সিলগালা

  •    
  • ৮ নভেম্বর, ২০২১ ২১:৩২

বিচারপতি মানিক বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, ক্ষতিগ্রস্তদের যতখানি সম্ভব টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কোথায়, কী সম্পদ কীভাবে আছে তা দেখা। সেসব সম্পদ দিয়ে দায়দেনা কতটুকু পরিশোধ করা যাবে সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে কমিটি। কেউ যেন ঢুকতে না পারে তাই ওয়্যারহাউস সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।’

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাভারের চারটি ওয়্যারহাউস পরিদর্শন শেষে সেগুলো সিলগালা করে দিয়েছে হাইকোর্ট গঠিত পরিচালনা কমিটি।

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের দল সোমবার দুপুরে সাভারের আমিনবাজারের দুইটি ও বলিয়ারপুরের দুইটি ওয়্যারহাউস পরিদর্শন করে। এরপর বিকেলে এগুলো সিলগালা করা হয়।

ওই পাঁচ সদস্যের দলে আরও ছিলেন ইভ্যালি পরিচালনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, অবসরপ্রাপ্ত সচিব রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে আছেন ফখরুদ্দিন আহমেদ, আইনজীবী হিসেবে খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

প্রতিষ্ঠানটির দায় ও সম্পদ পরিস্থিতি যাচাইয়ে পরিদর্শন শেষে বিচারপতি মানিক নিউজবাংলাকে জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রতারিত গ্রাহক ও মার্চেন্টের স্বার্থ সুরক্ষায় নিবিড়ভাবে কাজ করছে হাইকোর্ট গঠিত নতুন পরিচালনা কমিটি। এখানে যারা টাকা দিয়েছিলেন তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষদের যতখানি সম্ভব টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কোথায়, কী সম্পদ কীভাবে আছে তা দেখা। সেসব সম্পদ দিয়ে দায়দেনা কতটুকু পরিশোধ করা যাবে সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে কমিটি। কেউ যেন ঢুকতে না পারে তাই ওয়্যারহাউস সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।’

ওয়্যারহাউসে বেশ কিছু টেলিভিশন, কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিক্স মালামাল আছে।

ইভ্যালির তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহক ও মার্চেন্টরা কোম্পানিটি থেকে পায় ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে তাদের (ইভ্যালি) মোট সম্পদের মূল্য ১২১ কোটি টাকা।

ব্যবসা পরিচালনার সময় কোম্পানিটি বড় ডিসকাউন্ট দিয়ে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করে। ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার কথা বলে বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের কাছ থেকে আগাম পেমেন্ট গ্রহণ করে। তবে বেশির ভাগ গ্রাহক নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনও পণ্য বুঝে পাননি।

আবার কিছু ক্ষেত্রে ইভ্যালি পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রাহকদের রিফান্ড চেক অফার করে। সেখানেও হয় আরেক ধরনের প্রতারণা। অনেক ক্ষেত্রে ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় ওই চেক বাউন্স করে।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থ আত্মসাৎ ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী এবং ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলার কার্যক্রম চলমান।

এ বিভাগের আরো খবর