কক্সবাজারে রক্তের হোলি খেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার বিকেলে কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারে রক্তের হোলি খেলা চলতে দেয়া হবে না। এটি ট্যুরিস্ট প্লেস, ট্যুরিস্টরা আসবেন। আমরা শুনেছি, এখানে কয়েকটা প্রাণহানি ঘটেছে। আর সহিংসতা, আর কোনো প্রাণহানি যেন না হয়। আমরা রক্তপাত দেখতে চাই না।’ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.আনোয়ার হোসেনের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কঠোর হন। কক্সবাজারে আর কোনো সহিংসতা যেন দেখতে না হয়। আপনি যেভাবে পারেন এর ব্যবস্থা করুন।’
তিনি বলেন, ‘যদি রোহিঙ্গারা রক্তপাত ঘটায়, মাদক আনে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হব।
‘এখানে ১০ বছর আগে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে পারতেন না। ট্যুরিস্ট পুলিশ হয়েছে বলেই পর্যটকরা এখন নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারছেন। ’
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোর্শেদুল আনোয়ার খান।
অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রমের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
পাহাড় থেকে অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে পাহাড় থেকে অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ সময় ১০টি অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের এক্স-৪ ক্যাম্পের গহিন পাহাড়ে সকালে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
আটকরা হলেন কুতুপালং ক্যাম্প সি-১-জি ব্লকের বাইতুল্লাহ, তার ভাই হাবিব উল্লাহ এবং একই ক্যাম্পের জি ব্লকের মোহাম্মদ হাছুন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়েরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র পাহাড়ের ওই কারখানায় অস্ত্র তৈরি করছিল। এখান থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করা হতো, এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে কারখানাটি শনাক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ের পর কারখানাটি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে পাঁচটি পিস্তল, পাঁচটি বন্দুক ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।’
র্যাব-১৫-এর কর্মকর্তা খায়েরুল ইসলাম জানান, ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসী তৎপরতা ঠেকাতে কাজ করছেন র্যাব সদস্যরা।