দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ভাইরাসটি ধরা পড়েছে ২১৫ জনের দেহে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সোমবার বিকেলে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশে এ নিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৭১ হাজার ২২৮ জনের দেহে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৯০১ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৪ ল্যাবে ১৫ হাজার ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৮।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে তিন পুরুষ ও তিন নারী রয়েছে। এর মধ্যে বিশোর্ধ্ব এক, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুই ও ষাটোর্ধ্ব তিনজন রয়েছে।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছে। গত এক দিনে এ বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া খুলনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি বিভাগগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২০৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
সরকারের লক্ষ্য এ হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। ইতোমধ্যে চার জেলায় করোনা সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
দেশে গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বছরের শেষে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও চলতি বছরের এপ্রিলের আগে আবার বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।
সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া শুরু হয়। ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
করোনা সুরক্ষার অংশ হিসেবে স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। সে লক্ষ্যে রাজধানীর আটটি স্কুলে টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে।