তেলের দাম ও পরিবহন ব্যয় বাড়ানো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘সরকার অযৌক্তিকভাবে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা দাবি করেছিলাম, তেলের দাম কমাতে। তবে সরকার তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সড়ক ও নৌপথের ভাড়া বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। তেলের দাম ও পরিবহন ব্যয় বাড়ানো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত।’
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ডিজেল, কেরোসিনের বাড়তি দাম কমানোর দাবি করছি। পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথের বর্ধিত ভাড়াও কমানোর দাবি জানাচ্ছি।’
জি এম কাদের বলেন, ‘৩ নভেম্বর রাতে হঠাৎ করেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এই সিদ্ধান্তে পরিবহনসংশ্লিষ্টরা আন্দোলনে নামলে সরকার তেলের দাম না কমিয়ে বাস ভাড়া ২৭ ভাগ এবং লঞ্চ ভাড়া ৩৫ ভাগ বাড়িয়ে দেয়। এতে সাধারণ মানুষ অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হবে। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে পরিবহনসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘করোনাকালে কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমন বাস্তবতায় তেলের দাম বাড়ানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত। পাশের দেশ ভারতও এই মুহূর্তে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমিয়ে দিয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় স্বাভাবিক করতে জ্বালানি তেল ও গণপরিবহনের ভাড়া কমানো অত্যন্ত জরুরি।’