নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে ৩০ নভেম্বর ঠিক করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনে শুনানির এই নতুন তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনে শুনানির জন্য তারিখ ঠিক করা ছিল। যার ফলে এই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু এই দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া গাজীপুর আদালতে অন্য মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এ মামলায় শুনানি করতে পারেননি। এজন্য মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করা হয়।
আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী তারিখ ৩০ নভেম্বর ঠিক করে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আল-আমিন তালুকদার।
গত ৬ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের দেয়া চার্জশিট আমলে নেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। ওইদিন মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ঠিক করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির আদেশ দেন তিনি।
৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছর ৪ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থার উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া।
হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেন তিনি। এসব অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি পাপিয়া দম্পতি।
চলতি বছরের মার্চ মাসে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন শাহীন আরা মমতাজ।
গ্রেপ্তারের পর থেকে এই দম্পতি কারাবন্দি আছেন। এরমধ্যে পাপিয়া কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আছেন।