জনপ্রতি লঞ্চের ভাড়া সর্বনিম্ন ২৫ টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহা. আমিনুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপন রোববার জারি করা হলেও এটি প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার সকালে।
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির পর লঞ্চমালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাড়া বাড়ল। পুনর্নির্ধারিত ভাড়া সোমবার সকাল থেকে কার্যকরের কথা জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। আগের তুলনায় লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৫ ভাগ।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (নৌরুট, পারমিট, সময়সূচি ও ভাড়া নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ২৭ মোতাবেক সরকার নৌযানে যাত্রী পরিবহনের জন্য কিলোমিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যাত্রী ভাড়া পুনর্নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআইডব্লিউটিএ-এর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রী ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ৬০ পয়সা বৃদ্ধি করে ২ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হলো। প্রথম ১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ৬০ পয়সা বৃদ্ধি করে ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
গত বুধবার মধ্যরাত থেকে ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এর প্রতিক্রিয়ায় পরদিন থেকে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্ধ করে দেন মালিকরা। শুক্রবার শুরু হয় সড়ক পরিবহন ধর্মঘট। শনিবার থেকে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার প্রথমে বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সড়ক খাতে পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসে বাস ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা।
এরপর লঞ্চের ভাড়া নিয়ে শুরু হয় বৈঠক। চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে লঞ্চের নতুন ভাড়া ঘোষণা করা হয়। যার প্রজ্ঞাপনই প্রকাশ করা হলো সোমবার।