বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জিয়ার আমলে গুম-খুনের তদন্ত হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

  •    
  • ৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:৫২

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুম, খুন ও ফাঁসির শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সামরিক কর্মকর্তাদের নামের তালিকা প্রকাশের দাবিতে সোমবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে একটি সংগঠনের সদস্যরা। ঘেরাও কর্মসূচির মধ্যে কার্যালয়ে ঢোকার সময় মন্ত্রীর গাড়ি দেখতে পেয়ে বিক্ষোভ করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। ওই সময় গাড়ি থেকে নেমে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিচার হয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুম-খুনেরও তদন্ত করে বিচার হওয়া উচিত।

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুম, খুন ও ফাঁসির শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সামরিক কর্মকর্তাদের নামের তালিকা প্রকাশের দাবিতে সোমবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে একটি সংগঠনের সদস্যরা।

ঘেরাও কর্মসূচির মধ্যে কার্যালয়ে ঢোকার সময় মন্ত্রীর গাড়ি দেখতে পেয়ে বিক্ষোভ করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। ওই সময় গাড়ি থেকে নেমে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।

জাতীয় প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে সকালে জড়ো হন ‘১৯৭৭ সালে খুনি জিয়ার গুম ষড়যন্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গ’ নামের সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে তারা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে তালিকা প্রকাশ করার দাবিতে।

১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরে সেনা ও বিমান বাহিনীর কারাদণ্ড পাওয়া ও চাকরিচ্যুত সদস্য এবং নিহত সদস্যের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গড়ে তোলা হয় সংগঠনটি।

বিক্ষোভকারীদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন মন্ত্রী। পরে তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন তিনি। মন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত হয়ে ঘেরাও কর্মসূচি শেষ করেন বিক্ষোভকারীরা।

আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘সেই সময় যারা বিনা বিচারে, প্রহসনের বিচারে জিয়ার রোষানলে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা আছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ব্যবস্থা করা হবে।’

জিয়ার শাসনামলে সব হত্যা বা খুনের অভিযোগ তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন মন্ত্রী।

বিক্ষোভকারীদের সমন্বয়ক কামরুজ্জামান মিঞা লেলিনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তড়িঘড়ি করে ফাঁসি দেয়ার আগে আত্মপক্ষ সমর্থন কিংবা আইনজীবী নিয়োগের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি।’

তাদের ন্যায়বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল জানিয়ে এতে বলা হয়, ‘১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাসে দীর্ঘদিন পরিবারগুলোর কাছে এই তথ্য অজানা ছিল। আমরা জানি না কোথায় তাদের কবর। আমাদের পিতা ও তাদের সহকর্মীদের এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হয়।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের পিতারা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন।

‘পরবর্তী সময়ে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান এক দিনে সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করতেন ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ফাঁসি কার্যকর করা হতো।’

কোনো ধর্মীয় সংস্কার ছাড়াই লাশগুলো ঢাকার আজিমপুর ও কুমিল্লার টিক্কারচর কবরস্থানে মাটি চাপা দেয়া হয় বলেও দাবি করে সংগঠনটি।

তাদের দাবি, জিয়াউর রহমানের নির্দেশে গঠিত বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালের বিচারে ফাঁসি হওয়া ১৯৩ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়, কিন্তু ওই ঘটনার জেরে মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৪৩ জন। কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন সেনা ও বিমানবাহিনীর আড়াই হাজার সদস্য।

এ বিভাগের আরো খবর