জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ভোট শুরু হয়েছে।
বরাবরের মতো এবারও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল দুটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচন করছে, তবে নির্বাচনে নেই বিএনপি ও জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে সোমবার সকাল ৯টা থেকে ভোট শুরু হয়। ভোট চলবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
১২টি বুথে ভোট নেয়া হচ্ছে। এরপর অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ওএমআর) যন্ত্রের সাহায্যে ভোট গণনা করা হবে।
নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন। তারা ভিড় করতে থাকেন কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামের সামনে।
নির্বাচন শুরুর কিছু সময় আগে অডিটরিয়ামের ফটকের সামনে পদপ্রার্থীরা শিক্ষকদের নমুনা ব্যালট বিলি করেন। এ ছাড়াও কেন্দ্র থেকে একটু দূরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ একাডেমিক ভবনের সামনে ডেস্ক বসিয়ে ভোটার নম্বর খুঁজতে সহায়তা করেন তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জবিশিসের এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন ৬৮৪ শিক্ষক৷ নির্বাচনে ৬টি পদে ৩০ পদপ্রত্যাশী শিক্ষক লড়াই করছেন। এদের মধ্য থেকে ১৫ জন নির্বাচিত হবেন।
সদস্যপদে ১০ জন ও বাকি ৫ পদে একজন করে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনে সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে দুজন পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়াও প্রতিটি সদস্য পদের বিপরীতে দুজন করে ২০ শিক্ষক নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
শিক্ষক সংগঠনের এ নির্বাচনে নীল দলের আবুল হোসেন-কামাল হোসেন প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান নির্বাচন করছেন।
নীল দলের জাকারিয়া-মোস্তফা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন নির্বাচন করছেন।
ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জবিশিস নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শিক্ষকরা শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট দিচ্ছেন।
‘বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট ভোটগ্রহণ চলাকালে শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করছে।’
সবশেষ ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি জগন্নাথে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়। গত বছরের জানুয়ারিতে শিক্ষক সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।
ভোটদানের নিয়ম
১. ওএমআর ব্যালটে ভোট দিতে হবে।
২. পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশের বৃত্তটি কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে ভরাট করতে হবে।
৩. যেকোনো পদের জন্য পদসংখ্যার বেশি ভোট দিলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
৪. ওএমআর ব্যালটটি মোচড়ানো বা ভাঁজ করা যাবে না।
৫. বাক্সে ফেলার সময় ব্যালটটি উল্টিয়ে ধরতে হবে।
৬. ভোট দেয়ার সময় মোবাইল বন্ধ রাখতে হবে।